পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭২
বিদ্যাসাগর।

পাঠ করিলে কতকটা কৌতুহল চরিতার্থ করিতে পারেন। ১৮০০ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৮৪০ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত যাঁহারা বাঙ্গালা পুস্তক রচনা করিয়াছিলেন, ইয়াটস্ সাহেব তাঁহাদের অধিকাংশের ভাষা নমুনাস্বরূপ উদ্ধৃত করিয়াছেন। এই ইয়াটস্ সাহেবই বলিয়াছেন,—“প্রকৃত বাঙ্গালা অতি সম্ভ্রান্ত ভাষা। এমন কোন ভাব নাই, যাহা ন্যায়ত তেজের সহিত, বাঙ্গলা ভাষায় প্রকাশ করিতে পারা যায় না। তবে বাঙ্গালা পাঠ্য বিরল।”[১]অদ্য ইয়াটস্ সাহেব জীবিত থাকিলে, তাঁহার মনের এ ক্লেশ একেবারে না হউক, কতকটা দূরীকৃত হইতে পারিত।

 ভাষার পুষ্টিতত্ত্বনির্ণয় করিতে হইলে, প্রাচীনতম সাহিত্যের আলোচনা করা কর্ত্তব্য; অন্ততঃ বিদ্যাসাগর-বিরচিত ‘বাসুদেব চরিতে’র ভাষা বুঝাইতেও তাহার প্রয়োজন; কিন্তু এখানে সে সম্বন্ধে আলোচনার স্থানাভাব; এতৎসম্বন্ধে বিস্তৃত আলোচনা পাঠকের বিরক্তিকর হইবার সম্ভাবনা, তবে কতকটা কৌতুহলনিবৃত্তির জন্য কয়েকখানি পুস্তকের উল্লেখ করিলাম।

 প্রথমে “তোতা-ইতিহাসে’র উল্লেখ করা উচিত। এখানি “তোতা-কাহিনী” নামক উর্দ্দু পুস্তকের অনুবাদ। হিন্দীতেও “শুকবাহাত্তরী” নামক এইরূপ একখানি পুস্তক আছে। তোতা অর্থাৎ শুকপক্ষীর মুখে গল্পচ্ছলে কয়েকটি প্রসঙ্গ। ইহার লিপিপ্রণালী বিশুদ্ধ নয়; ভাষাও গ্রাম্যদোষ বর্জ্জিত নয়, স্থানে স্থানে বিজাতীয় ভাব-ব্যক্তিরও অভাব নাই; সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে অষথা

  1. * Author's Pref... Yates’ Introduction to Bengali Isnguage.