পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রিপোর্ট।
২১৩

টীকাকার মল্লিনাথের অত্যুৎকৃষ্ট ব্যাখ্যায় অলঙ্কৃত; সুতরাং উক্ত পুস্তকদ্বয়ের অধ্যয়ন নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় বলিয়া বোধ হয়।

 এস্থলে ইহার উল্লেখ আবশ্যক যে, উপরোক্ত টীকাকার তাঁহার অন্যান্য সহোযোগীর ন্যায় নহেন। তাঁহারা গ্রন্থের দুরূহ অংশগুলি পরিত্যাগ করিয়া অপেক্ষাকৃত সরল অংশগুলি বিশেষভাবে ব্যাখ্যা করেন। এই সকল বিষয় সবিশেষ পর্য্যালোচনা করিয়া দেখিলে বিশেষ প্রতীতি হইবে যে, মুগ্ধবোধ, ধাতুপাঠ ও অমর কোষ পাঠে পাঁচ বৎসর কাল অতিবাহিত করা নিতান্ত যুক্তি-বিরুদ্ধ। এই বিভাগে অপর পাঠ্যপুস্তক ভট্টিকাব্য। ইহা রাম ও তাঁহার কার্য্য-কলাপসমন্বিত একথানি পদ্যগ্রন্থ। এই পুস্তকখানি ব্যাকরণশাস্ত্রের সূত্রসকলের উদাহরণ প্রদর্শনাভিপ্রয়েই লিখিত হইয়াছে। ইহা ব্যাকরণবিভাগের নিতান্ত অনুপযোগী বলিয়া বোধ হয় না।

 এক্ষণে ব্যাকরণবিভাগে প্রচলিত শিক্ষাপ্রণালীর সংস্কার করিতে ইচ্ছা করি। আমার সামান্য বিবেচনায় ইহা যুক্তি-সঙ্গত বলিয়া বোধ হয় যে, যে চারি বৎসর ব্যাকরণ বিভাগে অতিবাহিত করা নিৰ্দ্ধারিত আছে, উক্ত সময়ের মধ্যে যে ছাত্রেরা কেবল ব্যাকরণেই পারদর্শিতা লাভ করিবে, তাহা নহে; তাহার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ সাহিত্যেও কিঞ্চিৎ প্রবেশাধিকার লাভ করিতে পরিবে। এক্ষণে তাহারা সাহিত্য বিভাগে যে ক্লেশ অনুভব করে, তাহাদিগকে আদৌ তাহা করিতে হইবে না। একখানি অসম্পূর্ণ ব্যাকরণ অধ্যয়নানন্তর তাহাদিগকে সাহিত্যবিভাগে প্রবেশ করিতে হয় এবং ভাষায় তাহাদিগের কিঞ্চিম্মাত্রও জ্ঞান জন্মে না।