পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শূদ্র ছাত্রগ্রহণের ব্যবস্থা।
২৫৩

কলেজের ইংরেজ-কর্তৃপক্ষ যাহা করিতে পারেন নাই, বিদ্যাসাগর তাহা করিলেন।

 ১৯০৮ সংবৎ, ১২৫৮ সালে ১লা অগ্রহায়ণ বা ১৮৫১ খৃষ্টাব্দের ১৬ই নবেম্বর বিদ্যাসাগর মহাশয় উপক্রমণিকা ব্যাকরণ মুদ্রিত ও প্রকাশিত করেন। বঙ্গের বিদ্যার্থিমাত্রের নিকট উপক্রমণিকা পরিচিত। উপক্রমণিকার প্রণালী সংক্ষিপ্তসার ব্যাকরণের “কড়চা”,হইতে অনুকৃত। অনুকরণ হইলে ও কোন কোন বিষয়ে উদ্ভাবনী-শক্তি উপলব্ধ হয়। উপক্রমণিকণপাঠে ব্যাকরণের অবশ্য তলম্পর্শিনী বুৎপত্তি জন্মে না; কিন্তু সাধারণের সংস্কৃত শিক্ষার এমন সহজ প্রবেশ পথ আর দ্বিতীয় নাই।

 ১৮৫২ সালের ১১ই মে বা ১২৫৯ সাল ৩০ শে বৈশাখ মঙ্গলবার বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাড়ীতে ডাকাইতি হইয়াছিল। ৩০।৪০ জন লোক তাহার বাড়ীতে পড়িয়া সর্ব্বস্ব লুটিয়া লইয়া যায়। বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন গ্রীষ্মবকাশে বাড়ীতে ছিলেন। ডাকাইতি পড়িলে, তিনি পরিবারবর্গসহ খিড়কীর দ্বার দিয়া পলায়ন করেন। এই ডাকাইতি কালে বিদ্যাসাগর মহাশয় সপরিবারে হৃতসর্ব্বস্ব হইয়াছিলেন। তথন পিতা ঠাকুরদাস জীবিত ছিলেন। বাড়ীতে ভয়ানক ডাকাইতি হইয়া গেল, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তাহাতে কিছুমাত্র ভাবনাচিস্তা ছিল না। পরদিন প্রাতঃকালে তিনি বন্ধু-বান্ধব ও ভ্রাতৃবর্গের সহিত পরমনন্দে কপাটী থেলিয়াছিলেন। যে দারোগা তদন্তে অসিয়ছিলেন, তিনি তাঁহাকে তদবস্থায় দেখিয়া অবাক হইয়াছিলেন। তিনি যখন শুনিলেন, এই নিশ্চিন্ত যুবা দেশের শাসনকর্তৃপক্ষেরও সম্মানাস্পদ, তখন তাঁহার মুণ্ড হেঁট হইয়াছিল। যাহা