পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিধবা-বিবাহ।
৩০৩

না এবং সামাজিক এবং ধর্ম্মসম্বন্ধীয় ভ্রমসংস্কার সত্বেও যাঁহারা উক্তপ্রকার বিবাহ-সূত্রে আবদ্ধ হইতে ইচ্ছুক, তাঁহারা উপরোক্ত হিন্দু-আইন-প্রচলন কারণ এই প্রকার বিবাহ-প্রথা প্রবর্ত্তিত করিতে অক্ষম।

 “একপ্রকার গুরুতর সামাজিক অনিষ্ট হইতে রক্ষা পাইবার পক্ষে যে সব আইন-সঙ্গত বাধা আছে, তাহা দুর করা ব্যবস্থাপক সভার কর্ত্তব্য। এই অনিষ্ট দেশাচারঅনুমত হইলেও বহুতর হিন্দুর পক্ষে ইহা অত্যন্ত কষ্টের কারণ এবং হিন্দু অনুশাসনবিধির প্রকৃত মর্ম্মবিরুদ্ধ।

 “এই বিবাহের আইনসঙ্গত বাধা অন্তর্হিত হওয়া, স্বধর্ম্মপরায়ণ আস্থাবান্ বহুসংখক হিন্দুর একান্ত অভিপ্রেত ও অনুমত। যাঁহারা বিধবা বিবাহ শাস্ত্রানুসারে নিষিদ্ধ বলিয়া স্থির বিশ্বাস করেন, যাঁহারা বিশেষ বিশেষ কারণে (কারণ গুলি যদিও ভ্রান্তিপরিপূর্ণ) এইরূপ ব্যবস্থা সমাজের মঙ্গলজনক বলিয়া পোষকতা করেন,আইনসঙ্গত বাধা অন্তর্হিত হইলে, তাঁহাদের ভ্রমসংস্কার বিরুদ্ধ বলিয়া বিস্ময়ের কারণ হইলেও কোনপ্রকার অনিষ্টের কারণ হইবে না।

 “এরূপ বিবাহ স্বভাববিরুদ্ধ নয় কিংবা অন্য কোন দেশে দেশাচারে বা আইনে নিষিদ্ধও নয়।

 “যাহাতে হিন্দু বিধবাদিগের পুনর্ব্বিবাহ পক্ষে বাধা না থাকে এবং সেই বিবাহজাত সন্তানসন্ততি যাহাতে বিধিসম্মত সন্তানসন্ততি বুলিয়া পরিগৃহীত হয়, তাহার জন্য আইন প্রচলন করিবার সঙ্গতিবিষয়ে মহামান্য ব্যবস্থাপক সভা আশু বিবেচনা করুন।”

 পরে এতৎসম্বন্ধ আইনের এক পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত হয়। ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দের ১৭ই নবেম্বর বা ১২৬২ সালের ২রা অগ্রহায়ণ ব্যবস্থাপক