পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৯৮
বিদ্যাসাগর।

পারিবে। কিন্তু প্রবর্ত্তিত প্রথা অনুসারে চলিলে, এরূপ ফলের প্রত্যাশা করা যাইতে পারে না; এবং এই প্রথা যদ্যপি প্রচলিত থাকে ও ওয়ার্ডগণকে এইরূপ অকিঞ্চিৎকর জ্ঞানলাভ করিয়া যদি ইনষ্টিটিউশন পরিত্যাগ করিতে হয়, তাহা হইলে আমার বিবেচনায় তাহাদিগকে গৃহ হইতে এবং আত্মীয়স্বজনের নিকট হইতে পৃথক করিবার যে উদ্দেশ্য, সে উদ্দেশ্য সফল হইল না।

 এই ইনষ্টিটিউশনে ওয়ার্ডগণকে শাসন করিবার যে নিয়মাবলী আছে, তাহার একাদশ নিয়মটা বিশেষ করিয়া উল্লেখ করিতে চাই। ঐ নিয়মটীর তাৎপর্য এই যে, কোন প্রকার গুরুতর অপরাধ না হইলে, ওয়ার্ডগণকে শারীরিক দণ্ড দেওয়া হইবে না। কিন্তু অর্ডার বুক-দৃষ্টে প্রতিপন্ন হইতেছে যে, প্রতিমাসে বালকদিগকে ৪ হইতে ১২ পর্যন্ত বেত্রাঘাত সহ্য করিতে হইয়াছে। যে যে অপরাধে তাহারা উক্তরূপ দণ্ড প্রাপ্ত হইয়াছে তাহার একটী ব্যতীত অন্য কোনরূপই “গুরুতর অপবাধ” বলিয়া প্রতিপন্ন হইতে পারে না। সেটীরও বিশেষ কোন বিবরণ প্রাপ্ত হওয়া যায় না। কিন্তু আমি ইহা সবিনয়ে প্রকাশ করিতে চাহি যে অপরাধ যে প্রকারের হউক না কেন, ওয়ার্ডগণকে শাসন করিতে শারীরিক দণ্ড যেন একবারে রদ করিয়া দেওয়া হয়। শারীরিক দণ্ডবিধানের অনিষ্টকর ফলের জন্য তাহা অপর-সাধারণ সমস্ত বিদ্যালয় হইতে উঠাইয়া দেওয়া হইয়াছে। শত শত বালক বেত্রযষ্টির সাহায্য ব্যতীত শাসিত হইতেছে; সুতরাং ওয়ার্ডস্ ইনষ্টিটিউশনের বালকবৃন্দ যে, এই প্রকার রূঢ় ও কঠিন ব্যবহারের