পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৫৬
বিদ্যাসাগর।

দস্থ হইব এই বিবেচনায় যাহা উচিত তাহা করিবেন। অত্যন্ত অসুবিধায় না পড়িলে আমি কদাচ শ্রীমতীকে ও আপনাকে এরূপে বিবক্ত করিতে উদ্যত হইতাম না জানিবেন; অগ্রহায়ণ মাসে আমার টাকার প্রয়োজন। এই টাকা ধার করিয়া দিলে আর পূর্ব্ববৎ বার্ষিক সাহায্য করিতে হইবে না। শ্রীমতী আমার যথেষ্ট উপকার করিয়াছেন। ঐ সকল উপকার আমার অন্তঃকরণে নিরন্তর জাগরূক রহিয়াছে। আমি যে তাঁহার যথার্থ গুণগ্রাহী ও আশীর্ব্বাদক অনতিবিলম্বে তাহার পরিচয় দিব।

 আমি এক্ষণে কিছু ভাল আছি। আপনার নিজের ও রাজধানীর সর্বাঙ্গীন মঙ্গল সংবাদ দ্বারা পরিতৃপ্ত করিতে আজ্ঞা হয়। কিমধিকমিতি ২০শে কার্তিক ১২৭৬ সাল।

 বিদ্যাসাগর মহাশয় এই পত্র লিখিয়া টাকা পাইয়াছিলেন এবং যথাসময়ে তাহার পরিশোধ করিয়াছিলেন।

 কেবল মহারাণী স্বর্ণময়ীর নিকট হইতে কেন, আরও অন্যান্য অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তির নিকট হইতেও ঋণ করিতে হইয়াছিল। পাইকপাড়ার রাজপরিবারের কোন স্ত্রীলোকের নিকট হইতে বিদ্যাসাগর মহাশয় ২৫০০০৲ টাকা ঋণ লইয়া ছিলেন। ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে চকদীঘির উইল সংক্রান্ত মোকদ্দমায় বিদ্যাসাগর মহাশয় যে সাক্ষ্য দিয়াছিলেন, তিনি তাহাতে এই কথা স্বীকার করিয়াছেন।

 মফঃস্বলে বিধবা বিবাহ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জন্য ব্যয় অধিক হইত। সেই জন্য ঋণটা বেশী হইয়াছিল। হিন্দু-পেট্রিয়টে বিদ্যাসাগর মহাশয় এ কথা লিখিয়াছিলেন। কেবল অর্থব্যয় নহে; প্রকৃতই মফস্বলের জন্য তাঁহাকে নানাপ্রকারে ব্যাতি