পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাক্ষ্য-বাক্য।
৫৫৭

খসড়াটী প্রত্যর্পণ করিবার পর অন্য কোন খসড়া পুনশ্চ দেখি নাই।

 জেরা করাতে সাক্ষী বলেন,—আমার বোধ হয়, উইলের ঐ খসড়া সারদা বাবু আমাকে স্বহস্তে দিয়াছিলেন। আমি খসড়ার কোন অংশের পরিবর্ত্তন করি নাই; কিন্তু আমি খসড়ার ঐ আপত্তিজনক অংশগুলি তাঁহাকে বাছিয়া দিয়াছিলাম। তবুও আমার মনে নাই যে, উহার কিছু পরিবর্ত্তন করিয়াছিলাম কি না। আমি এই বলিয়া আপত্তি করিয়াছিলাম যে, ভাগিনেয়কে সম বিষয় দেওয়া এবং অপরকে একবারে বঞ্চিত করা নিতান্ত অন্যায়। আমি বলিয়াছিলাম, অপর ভাগিনেয়ের কিছু পাওয়া উচিত। ঐ ভাগিনেয়ের নাম প্রিয়ম্বু। ভাগিনারা অপেক্ষাকৃত অল্প অংশ প্রাপ্ত হন। আমি তাদের আরও কিছু বেশী করিয়া দিতে বলি। আমি আরও তাঁহার স্ত্রীকে কিছু বেশী দিতে বলিয়াছিলাম। তাহাতে তিনি উত্তর দেন,আচ্ছা আমি এ বিষয়ে বিবেচনা করিব। আমার বোধ হয় উইলের সেই খসড়াতে তাঁহার স্ত্রীকে মাসিক একশত টাকার মাসহারা দেওয়া ছিল। যখন আমি এ উইলের খসড়াটী পাই, তখন আমি ইহা কলিকাতায় কাহাকেও দেখাই নাই। ললিতমোহন কোন্ স্থানে জন্মগ্রহণ করেন, তাহা আমি জানি না। কিন্তু বাল্যকাল হইতে তিনি সারদা বাবুর বাটীতে মানুষ হইতেছিলেন। সারদা বাবু তাঁহাকে অত্যন্ত ভালবাসিতেন এবং তাঁহাকে অত্যন্ত যত্ন করিতেন। রাজেশ্বরী তাঁহাকে যত্ন করিতেন কি না তাহা আমি জানি না। কারণ তখন আমি তাঁহাদের অন্দর মহলে যাইতাম না। আমি ঐ সময় রাজেশ্বরীকে দেখি নাই। আমার