পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৫২
বিদ্যাসাগর।

পরে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে কিছুকাল অল্প বেতনে কার্য্য করিয়া সংস্কৃত কলেজে লাইব্রেরিয়ানের পদে নিযুক্ত হন। এবং শেষে সংস্কৃত কলেজের ব্যাকরণের অধ্যাপকের পদে নিযুক্ত হইয়া ২৮ বৎসর চাকরীর পর অবসর গ্রহণ করেন। ইঁহার পিতা একটী মুদ্রাযন্ত্র স্থাপন করিয়া যান। দ্বারকানাথ তাহা হইতে রোম ও গ্রীসের ইতিহাস নামক দুইখানি পুস্তক প্রকাশিত করেন। ইহার পর ইনি নীতিসার, বিশ্বেশ্বর বিলাপ এবং ভূষণসার ব্যাকরণ প্রভৃতি পুস্তকসমূহ প্রণয়ন ও প্রকাশ করেন। এই সময়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়, সারদাপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য নামক জনৈক কৃতবিদ্য বধির যুবকের জীবিকানির্ব্বাহের জন্য “সোম প্রকাশ” নামক একখানি সংবাদপত্র প্রকাশের সঙ্কল্প করেন, কিন্তু সারদাপ্রসাদ বর্দ্ধমান রাজবাটীতে মহাভারতের অনুবাদ কার্য্যে নিযুক্ত হওয়ায় উক্ত কার্য্য স্থগিত থাকে। ইহার কিছু দিন পরে দ্বারকানাথ প্রভৃতি কয়েক জন বন্ধুর উৎসাহে বিদ্যাসাগর মহাশয় ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দে নবেম্বর মাসে “সোমপ্রকাশ” প্রকাশিত করেন। দ্বারকানাথ উহার সম্পাদক হন। কিছুকাল পরে সোমপ্রকাশের সমস্ত ভারই দ্বারকানাথের উপর পড়ে। দ্বারকানাথও অসীম অধ্যবসায়ের সহিত মৃত্যুকাল পর্যন্ত ইহার পরিচালনা করেন। এই সোমপ্রকাশ এক সময়ে অতিশয় প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল। ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দে তদানীন্তন বড়লাট লর্ড লিটন বঙ্গীয় মুদ্রাযন্ত্র বিষয়ক আইন (Vernacular Press Act) বিধিবদ্ধ করিলে দ্বারকানাথ মুচলেকা দিতে অসম্মত হইয়া সোমপ্রকাশের প্রচার বন্ধ করেন। পরে লর্ড রিপন উক্ত আইন রহিত করিয়া দিলে সোমপ্রকাশ পুনঃ প্রকাশিত ___ মপ্রকাশ ব্যতীত