পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭১৬
বিদ্যাসাগর।

শিলা আদালতে লইয়া যাইতে আদেশ করেন। প্রকৃত কথা অবগত হইয়াই সুরেন্দ্রনাথ ক্ষমা প্রার্থনা করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহাতে কোন ফল হইল না, দোষী সাব্যস্ত হইয়া দুই মাসের জন্য সিভিল জেলে থাকিতে হইবে, এই দণ্ডে ইনি দণ্ডিত হইলেন। কেবলমাত্র রমেশচন্দ্র মিত্র মহাশয় বলিয়াছিলেন যে, অর্থদণ্ডই যথেষ্ট, কিন্তু এককের মত বলিয়া তাহা গ্রাহ্য হয় নাই। নরিস সাহেবের জন্য সুরেন্দ্রনাথের এই দুৰ্গতি ঘটে; কিন্তু ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে যখন সুরেন্দ্রনাথ সংযোগিগণের সহিত ভারতবিষয়ক আন্দোলন করিতে ইংলণ্ডে যান, তখন বৃষ্টল নগরে একটী সভা আহবান উপলক্ষে নরিস সাহেব অযোচিত হইয়া ইঁহাদের অনেক সাহায্য করিয়াছিলেন। জাতীয় সমিতি কল্পে সুরেন্দ্রনাথ একজন প্রধান উদ্যোক্ত। ইনি ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দে পুনা নগরে এই সমিতির ১১শ অধিবেশনে এবং ১৯০২ খৃষ্টাব্দে আমেদাবাদে ইহার ১৮ শ অধিবেশনে সভাপতির আসন গ্রহণ স্বরূপ সম্মান পাইয়াছিলেন। ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে Royal commission on Indian Expenditure নামক সমিতির সমক্ষে ইনি যে সাক্ষ্য প্রদান করেন, তাহাতে ইঁহার রাষ্ট্রনীতি বিষয়ক গভীর জ্ঞান সম্যক্ প্রতিভাত হইয়াছিল। জুরি নোটিফিকেসন প্রধানতঃ ইঁহারই আন্দোলনের ফলে প্রত্যাহৃত হয়। বঙ্গচ্ছেদ উপলক্ষে যে এদেশে ঘোরতর আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছে, তাহার মূলে ইনিই অন্যতম। ১৯০৬ খৃষ্টাব্দে এপ্রেল মাসে বরিশালে যে প্রাদেশিক সমিতি বসাইবার আয়োজন হয়, তাহা মাজিষ্ট্রেট সাহেবের জাদেশে বন্ধ হইয়া যায়। অভিধান গমনের সময়ে সুরেন্দ্রনাথ ধৃত হন এবং অবজ্ঞা করা অপরাধে অভিযুক্ত হইয়া অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন। কলিকাতা হাইকোর্টে আপীলের ফলে সুরেন্দ্রনাথের