পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা । ১৭ . অষ্টাহ পাল সম্পূর্ণ হয় না। বিশেষতঃ কবি মানসিংহের শেষ অষ্টাহমঙ্গল পালার সংক্ষেপ উল্লেখ করিবার সময় বিদ্যাসুন্দরের ফুহ পালাগানের কথা উল্লেখ করিয়াছেন,এবং ঠিক সেই খানেই অন্নদামঙ্গল শেষ কারবার সময় হেয়ালিতে লিখিয়াছেন । সে সময়ে অষ্টমঙ্গলা গান রচনা করাহ কাবদিগের রীতি ছিল । • কবিকঙ্কণ চণ্ডী হইতেই এই প্রথা প্রচলিত হইয়াছে। কবিরঞ্জন যে বিদ্যাসুন্দর লিখেন, তাহ{ও তাহার অষ্টমঙ্গল। গানের অস্তগত । সুতরাং ভারত যে এই প্রসিদ্ধ পথ পরিত্যাগ করিয়া প্রথমে পাচ পালায় তাহার অন্নদামঙ্গল শেষ করিয়াছিলেন, এবং পরে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের অনুরোধে বিদ্যাসুন্দর রচনা করিয়া অল্প দামঙ্গলের স্থানে স্থানে পরিবত্তন করিয়৷ তবে তন্মধ্যে তাহ সন্নিবেশিত কfরয়া দিয়াছেন, ইহা কখন সম্ভব নহে । বিশেষতঃ তখন সংস্কৃত বা বাঙ্গালায় অনেকগুলি বিদ্যাসুন্দর কাব্য বাঙ্গালায় প্রচলিত ছিল, তাহ জামরা দেখাইয়াছি। সুতরাং সে সময়ে ভারত বিদ্যাসুন্দরের উপাখ্যান বেশ জানতেন । এই সকল কারণে স্পষ্টছ বুঝা যায় ষে ভারত অন্নদামঙ্গলের সাহতহ তাহার বিদ্যামুন্দর রচনা করেন । পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে ১৬৭৪ শকে ভারত অন্নদামঙ্গল .শেষ করেন। তাহার গ্রন্থ মধ্যে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে তিনি । এক বৎসরে এই সুবৃহৎ অন্নদামঙ্গল রচন। শেষ করেন। তাহ। হইলে ১৬৭৪ শখে ব৷ ১৭৫১ খ্রীঃ অব্দের ভারত যে র্তাহার বিদ্যাসুন্দর রচনা শেষ করেন—সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । কবিরঞ্জন যদি বিদ্যাসুন্দরের শেষে কোন রূপ হিয়ালীতে র্তাহার কাব্য লেখার সময় নির্দেশ কুরিয়া যাইতেন, তবে কোন গোলযোগ হইত না । সেকালে সকল কবিদিগের মধ্যেই এই প্রথা প্রচলিত ছিল ; কিন্তু কবিরঞ্জন কেন যে পথ ত্যাম করিয়াছেন তাহ বলা যায় না। বোধ হয় তাহার বৃহৎ অষ্টমঙ্গল কাব্যের শেষে বা অদ্য কোন স্থানে এইরূপে সময় নির্দেশ করা ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ তাছ। এক্ষণে আর পাইবার উপায় নাই। একারণ তাহার বিদ্যান্থনার