পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা। অবিচারে রাজদণ্ড গুহ দহে বহি চণ্ড কি আছে ইহার তার চারী ॥ আর একস্থলে কোটাল বিদ্যাকে উদ্দেশ করিয়া বলিয়াছে, “গ্রামের সম্পর্ক যারে য বলিয়া ডাকে তারে সেই জুবি করণ কর্তব্য । একস্থলে অাছে, “বৃদ্ধকালে নানা জাতি সেবা করে সুত । কত বা সস্তান জন্মে কত জন্মে ভূত ॥” একস্থলে আছে, মদন, “পূৰ্ব্বে পোড়াইল হর হারাইল পঞ্চশর তথাপিও জয়ী সৰ্ব্বদেশ।” একস্থলে বিদ্যা, স্বন্দরের বন্ধন দৃষ্টে খেদ করিয়া বলিয়াছে, “প্ৰভু পূৰ্ব্বে প্রাণ বলে পশ্চাৎ পাৰকে ফেলে পলাইলা পাপে দিলা মন । তোমার তুলনা তুমি তরুণ তরুণী আমি ত্যাগ কর ত্বদঙ্গজ জন ॥” বাস্তবিক কবিরঞ্জনের বর্ণন বড় সতেজ ও হৃদয় গ্রাহী । আমরা এস্থলে তাহার দুই একটা মাত্র উদাহরণ দিই। চোর অন্বেষণে যখন কোটাল মালিনীর বাড়ী সুড়ঙ্গ দেখিতে পায়, তখন মুড়ঙ্গ খনন করিয়া চোর ধরিবার পরামর্শ হয় । তখন ‘বেগার ধর আরম্ভ হইল। পাঠক বর্ণনা দেখুন-- “খন্দক খনিতে করে কোটাল হুকুম। সহরে পড়িল বড় বেগারের ধুম ॥ যারে পায় তারে ধরে গালে মারে চড়। পলাবে বলিয়া রাথে কাড়িয়া কাপড় ॥ তখনি হাজার তিন আনিল কোদালি। মজুরের নিঘাবনা পাচ শত ঢালি।” যখন সহরময় এইরূপ চোর ধরার সোর পড়িয়া তথন, গেল