পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N ভূমিকা । নায় অতি সুন্দর শিল্পকৌশল দেখাইয়াছেন-বাহুল্যভয়ে তাহ। এস্থলে উদ্ধত হইল না। - + এক্ষণে কবিরঞ্জনের চরিত্র চির কিরূপ হইয়াছে তাহ। দেখা যাউক । আধুনিক কাব্যের চরিত্র চিত্রই প্রধান অঙ্গ— ৰাস্তবিক এক্ষণে তাহাকেই কাব্যের প্রাণ স্বরূপ বলা যায়। সুতরাং সাধারণ কাব্যে চরিত্রচিত্রের উৎকর্ষ না থাকিলে তাহাকে উৎকৃষ্ট কাব্য বলা যায় না। আমরা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে এই চরিত্রচিত্রের দ্বারাই কবি কিরূপ স্রষ্ট। তাহারই প্রধানতঃ পরিচয় পাওয়া যায় । সকলেই স্বীকায় করিবেন যে এবিষয়ে কবিরঞ্জন ভারত অপেক্ষ অনেক শ্রেষ্ঠ । ভারতের কাব্যের হীরাই একমাত্র অদ্ভূত স্বষ্টি। হীরার চরিত্রচিত্রে ভারত তাহার লিপিনৈপুণ্যের পরাকাষ্ঠ দেখাইয়াছেন । কিন্তু কবিরঞ্জন হীরা বিদ্যা ও সুন্দর তিন জনেরই চরিত্র অতি মুন্দর রূপে চিত্রিত করিয়াছেন। ভারতের বিদ্যা বা সুন্দর চিত্রিতপুত্তলিবৎ তাহাতে প্রাণ নাই, সুতরাং সে চিত্র অাদে স্বাভাবিক হয় নাই । কবিরঞ্জন বিদ্যা ও সুন্দরের চরিত্র অতি সুন্দর রূপে চিত্রিত করিয়াছেন। কবিরঞ্জন স্বন্দরের চরিত্র কিরূপ চিত্রিত করিয়াছেন তাহ এক্ষণে দেখা যাউক । সুন্দর শাপভ্রষ্ট দিব্য পুরুষ কালী পূজা প্রকাশার্থই কৰ্ম্মভূমি পৃথিবীতে জন্মিয়াছিলেন । “ শাপ ভ্ৰষ্ট জন্ম ধর। আমার সুন্দর । মম পূজা প্রকাশিতে পৃথিবী ভিতর ॥ ” এই শাপভ্রষ্ট কালীর বরপুত্র স্বন্দর কিরূপে কালীপূজা প্রচার করেন—তাহাই কবিরঞ্জন বর্ণনা করিয়াছেন, সুতরাং সুন্দর প্রথম হইতেই বরাবর কালীভক্ত। তিনি কালীর আদেশ ব্যতীত কখন কোন কাৰ্য্য করেন নাই। কিন্তু তিনি ভক্ত ও আদেশ বাদী ছিলেন বলিয়া যে তাহার পুরুষাৰ্থ আদেী ছিল না, তাহা নহে ।