পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ভূমিকা । “কাট রাজা তিলাৰ্দ্ধ না করি মৃত্যু ভয়।” রাজা কিন্তু তাহাকে মিছামিছি মৃত্যু ভয় দেখাইয়াছিলেন । কৌশলে সুন্দরের পরিচয় লওয়া তাহার এক কারণ – কিন্তু প্রধান কারণ এই যে, “কেমন পণ্ডিত বাপ জানা কিন্তু চাই ।” সুন্দর ও চোরপঞ্চাশত শ্লোকে তাহার সেই পাণ্ডিত্যের যথেষ্ট পরিচয় দিয়াছেন । v তবে এস্থলে পাত্রকে অযথা গালাগালি দেওয়া তাহার ভাল হয় নাই।

  • হুবচন্দ্র রাজা যেন গবচন্দ্র পাত্র।” প্রভৃতি কথা বড়ই রূঢ় হইয়াছে। সে যাহা হউক একবার আমরা সুন্দরের ভয়ের সঞ্চার দেখিতে পাই । . যখন তাহাকে যথার্থই কাটিতে মসানে লইয়। যাওয়া হইল তখন,

“কিছু কাল ছিল কবি ভয়েতে নীরব। কৃতাঞ্জলি কায়মনোবাক্যে করে স্তব ॥” তাহার পর আবার মুন্দর কেমন মহত্ব প্রকাশ করিলেন দেখুন। মাধব ভট্ট রাজসমীপে স্বন্দমের পরিচয় দিলে রাজা সভাসুদ্ধ মসানে গিয়া সুন্দরের ক্ষমা চাহিলেন। জুম্বর বলিলেন, - “নিজ নিজ কৰ্ম্ম ভোগ, পরে বৃথা অঙ্গুযোগ সকলি করেন ভদ্রকালা । ষেন রথ চক্রাকৃতি, নরভাগ্য নরপতি, চিরকাল সমান না যায় ॥” মুঙ্গরের মাতৃভক্তি ও যথেষ্ট ছিল । তিনি বহু দিন মাতা পিতার নিকট হইতে দূরে থাকায় স্বপ্নে মাতাকে দেখিয়া অত্যন্ত ছুঃথাকুল হইয়। বিদ্যাকে বললেন।

  • * * শুন শুন প্রাণপ্রিয়া,

মহা গুরু জনক জননী । শাস্ত্র সিদ্ধ কথা এহ, যা হতে দুল্লভ দেহ, বিনে মুক্ত উপযুক্ত ধ্বনি ॥”