পাতা:বিধবার ছেলে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bሦ বিধবার ছেলে । পদাৰ্পণ করিলেই লোকে দেখিতে পাইত যে, গিরিশ পাঠে নিমগ্ন। পাড়ার ছেলেরা যে সকল আমোদে সময় নষ্ট করিত, তাহার ভিতরে গিরিশ প্ৰায় থাকিত না । মহেশ মধ্যে মধ্যে বলিতেন “গিরিশ, যা যা, একটু বাহিরে যা, ছেলেদের সঙ্গে একটু খেলে আয় ; কেবল ঘাড় গুড়ে পড়বি, তাতে শরীর ভাল থাকবে কেন ?” গিরিশ সে কথায় কৰ্ণপাত কিরিত না, কেবল পড়া, পড়া, পড়া । তাহার ফল পরীক্ষাতে দেখা গেল । গিরিশ প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হইয়া স্কুলের মুখ উজ্জল করিল ; এবং অল্পদিনের মধ্যেই জানা গেল যে সে একটা বৃত্তি পাইয়াছে। এই সংবাদে গিরিশের মামা পুলকিত হইয়া উঠিলেন এবং তাহাকে কলিকাতায় নিজের বাসায় লইয়া গেলেন। কলিকাতায় লইয়া গিয়া তাহাকে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভৰ্ত্তি করিয়া দিলেন। এই সঙ্গে আর একটি ব্যাপার উপস্থিত হইল। কলিকাতার দক্ষিণ উপনগর ভবানীপুরে কৈলাস চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয়ের একটি স্বজাতীয় বন্ধু ছিলেন ; দুজনে গাঢ় মিত্ৰত ; উভয়ে যৌবন-সুহৃৎ এবং এক আফিসে কৰ্ম্ম করেন। } তাহারা অনেক পৈতৃক সম্পত্তি পাইয়াছেন, অবস্থা ভাল ; সুখেই বাস করেন, চাকুরী না করিলেও চলে ; কেবল আলস্যে দিন যাপন না করিয়া কাজ করা ভাল বলিয়া কৰ্ম্মটা লইয়াছেন। কাৰ্য্যালয়ে চক্রবর্তী মহাশয়ের সহিত গিরিশের বিষয়ে তাহার কথা হইত। মাতৃলের মুখে গিরিশের প্রশংসা ধরিত না । বলিতেন “আমার বোন ভাগ্যবতী। ষে এমন ছেলে পেটে ধরেছে।” ইত্যাদি। বন্ধু কৃষ্ণধনের একটী আট বৎসর বয়স্ক কন্যা আছে । তিনি মনে করিয়াছিলেন যে তাকে আর দুই বৎসর পরে বিবাহ দিবেন। কিন্তু গিরিশের কথা শুনিতে "শুনিতে মনে হইল যে শীঘ্ৰ এই ছেলের সঙ্গে বিবাহ দিলে হয়। এই ভাবিয়া তিনি কৈলাস চক্রবর্তী মহাশয়কে ধরিয়া বসিলেন। তিনি ইতস্তত: