পাতা:বিধবার ছেলে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবার ছেলে । হরিশ। তা আর কেন বলেন ? মহেশ সন্ধ্যার সময় গিয়ে ব্ৰজনাথ দত্ত মশাইকে বিষ্ণুপুরাণ পড়ে শোনায় ; তিনি নাকি মাসে পাঁচ টাকা “করে দেন ; সেই পাঁচ টাকা ও বিষয়ের সামান্য আয় এইমাত্র ভাল পাশের গ্রামে যে নূতন ইংরিজী স্কুলটা খুলেছে, মহেশ আপনার)টি ভাই গিরিশকে বাংলা স্কুল ছাড়িয়ে তাতে ভৰ্ত্তি করে দিয়েছে। ਚ পড়বার ব্যয় পশ্চিম পাড়ার রামধন মিত্র দেবেন বলেছেন। বিদ্যোলঙ্কার মশায়ের উপর তার প্রগাঢ় ভক্তি। তারপর, আগে বাড়ীতে একটা চাকর ছিল, তাও নাই ; মহেশ নিজে বাজার হাট করে, গরুর গোয়াল পরিষ্কার করে, খড় কাটে, গরু দোয় ; একটা ছেলেকে মাসে চারি আনা দিয়ে গরু চরিয়ে আনে। আগে একটা মেয়ে মানুষকে মাসে এক টাকা করে দেওয়া হত, সে এসে ঘরগুলা গোবর দিয়ে বাসন গুলি মেজে দিয়ে যেত; কৈলাস চক্ৰবৰ্ত্তী টাকা বন্ধ করা অবধি মহেশের মা নাকি সে মেয়ে মানুষটিকে ছাড়িয়ে দিয়েছেন, নিজের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নিজেই সব কাজ করেন। কেবল তা নয়, পাড়ার একটা মেয়েকে কয়েক সোর চাল দিয়ে নিজে বসে বাড়ীর ঢেকিতে ধান ভানেন। ভাইএর উপর অভিমান করে ঘরের সকল কাজ নিজের মাথায় নিয়েছেন। মার উপর। BBB DBD DDiYY DBDB DB DBDDBSS BDDB DDDBD DBDBD DBDD DBBBDBS শ্ৰীরাম। তা হবে না! ওর মা কিরূপ সাধু লোকের মেয়ে ! আমি এত কথা জানতাম না। মহেশত খুব ভাল ছেলে! ) হরিশ। দেখছেন কি ? আরও শুনুন। ওর লেখা পড়ায় বড় মন। “ দিনে দুপুরে বই নিয়েই মগ্ন আছে; ইংরিজী শেখবার জন্যে কোমর বেঁধেছে। কুড়ি একুশ বছর বয়স হলো, ছোট ছেলেটির মত, বই নিয়ে নূতন ইংরিজী স্কুলের দ্বিতীয় মাষ্টার বাবুর কাছে যায়। তিনি