বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se. দুল্লামেন্দ্ৰ পুনুমভিক্ত দিগম্বরীর লুব্ধ দৃষ্টি ছিল। বড় রুইমাছের মুড়ার সম্বন্ধে বিধবার মনের ভাব অনুমান করিতে নাই। সুতরাং লোভ তাহার নিজের জন্য নয় বটে, কিন্তু নিজের কোন একটা কাজে, স্বহন্তে রাধিয়া সদব্ৰাহ্মণের পাতে দিয়া পুণ্য ও খ্যাতি অর্জন করিবার বাসনা, অনেক দিন হইতে তিনি মনে মনে ELLED DBBDuBB BDD DBBBBB BDBDBD DDDS BDDDiSDDDDS গণেশ সম্বন্ধে আভাষ মাত্র না দিয়া, জেলেদের মোটা জাল চাহিয়া আনাইয়া, প্ৰজা ভগা বাগদীকে চার আন বকসিস কবুল করিয়া, সমস্ত আয়োজন একরূপ সম্পূর্ণ করিয়াই রাখিয়াছিলেন। আজ সকালেও সে দুইটা প্ৰাণীকে ঘাটের কাছে ঘুরিতে-কিরিতে দেখিয়া আসিয়া নিশ্চিন্ত হৃষ্ট-চিত্তে জপে বসিয়াছেন । এমন সময় এরূপ দুঃসংবাদ তাহাকে হিতাহিত-জ্ঞান-শূন্য করিয়া তুলিল। তাহার দাত কিন্ড মিড় করা অভ্যাস ছিল । তিনি অকস্মাৎ দাতে দাত ঘষিয়া, গলার মালাটা উঁচু করিয়া ধরিয়া বলিয়া উঠিলেন, ওরে, কি শক্তর আমার । কবে ছোড়া ম’রবে যে, আমার হাড়ে বাতাস লাগবে { বাসিমুখে এখনো জল দিইনি। ঠাকুর! যদি সত্যির হও, যেন তে-রাত্তির नों goiांश । । কাছে বসিয়া নারায়ণী তরকারী কুটিতেছিলেন। তিনি বিদ্যুদবেগে উঠিয়া দাড়াইয়া চেচাইয়া উঠিলেন, “মা !’ শুনিয়াছি সন্তানের মুখে মাতৃসম্বোধনের তুলনা নাই। নারায়ণীর মুখে মাতৃ-সম্বোধনের আজ বোধ করি তুলনা ছিল না। ঐ এক অক্ষরের ডাকে দিগম্বরীর বুকের রক্ত হিম হইয়া গেল। কিন্তু নারায়ণীও আর কিছু বলিতে পারিল না। দেখিতে দেখিতে তাহার দুই গণ্ড বাহিয়া টপটপ করিয়া জল ঝরিয়া পড়িতে লাগিল। ক্ষণেক পরে চোখ মুছিয়া যেখানে রাম পড়া তৈরী করিতেছিল। সেইখানেই আসিয়া দাড়াইলেন।