পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মত হইয়া উঠিল, মুখে যাহা আসে বকে, হাত পা ছোড়ে, আর কেবলই ছুটিয়া বাহির হইতে যায় । তিন দিন তিন রাত্রি একই ভাবে কাটিল । কত রকম তেল-পড়া জল-পড়া, ঝাড়-ফুক যে যাহা বলে তাহাই করা হইল। কিছুতেই কিছু হইল না । চতুর্থ দিন সকাল আটটার সময় হইতে বলাইয়ের অবস্থা ক্ৰমশঃ খারাপ হইয়া আসিতে লাগিল । বিপিন স্ত্রীকে ডাকিয়া বলিল-কি কারচো ? মনোরমার চক্ষু রাত জাগিয়া লাল, চোখের নীচে কালি পড়িয়াছেবৃদ্ধ শাশুড়ী রাত জাগিতে পারেন না-বিপিন ও আয়েসী লোক, রাত একটা পৰ্যন্ত কায়ক্লেশে জাগিয়া থাকে-তারপর গিয়া শুইয়া পড়ে } মনোরম সারারাত জাগিয়া থাকে রোগীর পাশে-আর থাকে। বীণা ৷ মনোরম বলিল-গোয়ালে আজ চারদিন ঝাট পড়েনি গোয়ালট একটু ঝাঁট দিচ্ছি। বিপিন বলিল-গোয়াল ঝাট থাকুক। সকাল সকাল নেয়ে এসে দুটো যা হয় রোধে ছেলেপিলেদের খাইয়ে দাইয়ে নাও-বীণাকে আর মাকে খাইয়ে দাও । বলাইয়ের অবস্থা দেখে বুঝতে পারছি না ? মনোরম স্বামীর মুখের দিকে চাহিয়া থাকিয়া বলিল, কেন গোঠাকুরপোর অবস্থা খারাপ ? তা দেখে বুঝতে পারছি না ? আজই হয়ে যাবে। আর দেরি নেই । শীগগির করে ঘাটে *'s G | মনোরম নিঃশব্দে কঁাদিতে লাগিল । বিপিন বলিলা-কেঁদে কি তবে, এখন যা করবার আছে করে ফেল । মায়ের সামনে যেন কেঁদে না, is is 5(a DBDDD BDBD DBDDDD BDBLLBBD BB D BD BBSDLDD DDmDBDB সকলকেই সে ভালবাসে, স্নেহ করে-মা, বীণা ঠাকুরবি, ঠাকুবপো,- R 3