পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাসে প্ৰায় দেড়শত টাকা আয় কইয়াছে। ম্যালেরিয়ার সিজন। এখনও পুরাদমে চলিবে আরও অন্ততঃ এক মাস। এই সময়ে একবার বাড়ি ঘুরিয়া আসা দরকার। দশম পরিচ্ছেদ y যেদিন বিপিন বাড়ী যাইবার ঠিক কবিয়াছে, সেদিন সকালে দত্ত মহাশয্যের মেযে শান্তি তাহাকে চণ্ডীমণ্ডপে জলখাবার দিতে আসিল । একখানা কঁাসিতে চালভাজা ও নারিকেল-কোরা, ইহাই জলখাবার । চা ইহারা বাধা নিযমে খাষ না, কাচিৎ কখনো সন্দি কাশি হইলে ঔষধ হিসাবে খাইয়া থাকে । সুতরাং মেযেটি যখন জলখাবারের কঁাসি নামাইযা সলজ্জ কুণ্ঠার সহিত বলিল, সে চা খাইবে কি না, বিপিন জিজ্ঞাসা কবিল-চা হচ্চে ? মেযেটি মৃদুকণ্ঠে বলিল, যদি খান তো কবে নিযে আসি। -না। শুধু আমার খাওয়ার জন্যে-দবকার নেই। --কেন দরকার নেই, নিযে আসচি। উত্তবের অপেক্ষা না করিযাই সে চলিয়া গেল এবং কিছুক্ষণ পরে এক পেযােলা ধূমায়িত গরম চা আনিয়া দিল। দত্ত মহাশয্যের মেয়ে তাহার সহিত এত কথা ইহার পূর্বে কখনো বলে নাই, যদিও আর দু একবার তাহাকে জলখাবার দিতে আসিয়াছিল। বিপিন। ইহাদের বাউীর আবরু কড়া বলিয়াই জানে । মেয়েটি চা দিয়া তখনও দাডাইযা আছে দেখিযা বিপিন ভাবিল