বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 জামাইটির সঙ্গে তাঙ্কার দেখা হইল বিকালের দিকে । বয়স ছাবিবশ সাতাশ বছর, একটু হৃষ্টপুষ্ট, চোখে চশমা, গম্ভীর মুখ-বৈঠকখানায় বসিয়া কি ইংরেজী কাগজ পড়িতেছিলেন । বিপিন বার কয়েক বৈঠকখানায় যাওয়া-আসা করিলা বটে, কিন্তু জামাইবাবু বোধ করি তাহার অস্তিত্বের প্রতি বিশেষ কিছু মনোযোগ না দিয়াই একমনে খবরের কাগজ পড়িয়া যাইতে লাগিলেন । বিপিনের রাগ হইল । তখনই সে সংকল্প করিল, সেও দেখাইবে, বড় লোকের জামাইকে সে গ্ৰাহও করে না । তুমি আছা বড় লোকের स्त्रांभोशे, ऊ) स्रभांद्र श्रुि ? বিপিন বৈঠকখানা-ঘরে ঢুকিয়া ফরাসি বিছানো চৌকির এক পাশে বসিয়া রহিল খানিকক্ষণ নিঃশব্দে। দশ মিনিট কাটিয়া গেল, জামাই বাবু তাহার দিকে ফিরিয়া ও চাহিলেন না বা একটা কথাও বললেন না । বিপিন পকেট হইতে বিড়ি বাহির করিয়া ধরাইল এবং ইচ্ছা করিয়াই ধোয়া ছাড়িতে লাগিল এমন ভাবে যাহাতে জামান্বয়ের চোখে পড়ে। জামাইবাবু বোধ হয় এবার ধূম হইতে বহ্নিমান পৰ্ব্বতের অস্তিত্ব অনুমান করিয়া খবরের কাগজ চোখের সন্মুখ হইতে নামাইলেন। বিপিনকে তিনি চেনেন, বিবাঙ্গের পর দুই তিন বার দেখিয়াছেন, শ্বশুরের জমিদারির জনৈক কৰ্ম্মচারী বলিয়া জানেন। তাহাকে এরূপ নিব্বিকার ও বেপরোয় ভাবে তাহার সম্মুখে বিড়ি ধবাইয়া খাইতে দেখিয়া তিনি 'বিস্মিত তো হইলেনই, লোকটার বেয়াদবিতে একটু রাগও হইল।