বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোদের গায়ে ডাক্তারি চলে ? আমি আজকাল ডাক্তারি করি কিনা ? নরহরি দাস বলিল-আসুন, এখা খুনি আসুন বাবু। ডাক্তারের যে কি কষ্ট, তা তো নিজের চোখে তুমি দেখেই এসেচ । আপনারে পেলি লোকে আর কোথাও যাবে না। ওষুধ খেয়েই মরবো। সারাদিন বিপিন বাহিরের কাজ কৰ্ম্মের ভিড়ে ব্যস্ত রহিল। মানীর সঙ্গে দেখাশুনা হইল না । অনেক রাত্রে যখন কীৰ্ত্তন বসিয়াছে, তখন মানী আসিয়া বলিল-বিপিনদী, খাবে এসো, রাস্নাঘরে জায়গা করেচি । রান্নাঘরের দাওয়ায় মানী নিজের হাতে তাহার পাতে লুচি তার কারি পরিবেশন করিতে করিতে বলিল-আমি জানি তুমি সারাদিন খাওনি, পেট ভরে খাও এখন । বিপিন বিস্মিত হইয়া বলিল-তুই কি করে জানলি ? --আমি সব জানি । --সাধে কি বলি, অন্তৰ্য্যামী মেয়ে ? --নাও, এখন ভাল করে খাও দিকি । বাজে কথা রাখো । ধই আর ক্ষীর নিয়ে আসি-তুমি ক্ষীর ভালবাসতে খুব । আরও ঘণ্টা দুই পরে নিমন্ত্রিতদের আহারের পর্ব মিটিল। বাড়ী অনেক নিস্তব্ধ হইল। বাহিরের উঠানে কীৰ্ত্তনসভা ভঙ্গ হইল । , বিপিন মানীকে খুজিয়া বাহির করিয়া বলিল-মানী, কীৰ্ত্তনের দল গাড়ী করে রাণাঘাট যাচ্চে, আমি ওই সঙ্গে চলে যাই । --তাই যাবে ! বেশ যাও । যা কিন্তু বলে দিয়েচি, মনে থাকবে ? -নিশ্চয় । তুই যা বলবি, তাই করবো । Հ ԳR»