পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তা পেয়েছিলেন কিন্তু তাঁর কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে যাওয়া বই ফেরৎ এসেছে মনে করে তা আর খোলেন নি।’

 প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর কিংসফোর্ড মজঃফরপুরে বদলী হয়ে আসেন। দ্বিতীয় চেষ্টা করা হয় মজঃফরপুরে। এবং এইবার পাঠান হয় স্বনামধন্য, প্রথম শহীদ ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকীকে। ইতিমধ্যে ভবানীপুরে আড্ডার সন্ধান পুলিস পেয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে শ্যামবাজার গোপীমোহন দত্ত লেনে আড্ডা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। কানাইলালও এই আড্ডায় চলে এলেন। হেমচন্দ্র লিখছেন—‘গোপীমোহন দত্ত লেনে প্রথমে যে তিনটা বোমা তয়ের হয়েছিল, তার একটা পরীক্ষা করে দেখা হল আশানুরূপ কায দেবে।’ অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে কিংসফোর্ডকে সরিয়ে ফেলবার অস্ত্রটি তৈরী হল হেমচন্দ্রের কারখানায় কানাইলাল প্রভৃতির সহযোগিতায়। প্রথমবারের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় ঠিক করা হয়েছিল এবারে দুজনকে পাঠাতে হবে। এই দুজনের একজনকে আনানো হল মেদিনীপুর সমিতি থেকে কাউকে কিছু না বলে। ইনি হলেন ক্ষুদিরাম বসু। দ্বিতীয় জনকে— প্রফুল্ল চাকীকে অন্য এক দল থেকে চেয়ে আনা হল। পরস্পর পরস্পরের অচেনা, কাজেই আশা করা গেল এবারে কার্য সমাধা হবে।

 এবারে কিন্তু একটু বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হল। কারণ সকলেরই সন্দেহ হচ্ছিল যে হয়ত পুলিস গোপীমোহন

৫৬