পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৪
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

এবং ঐ কমিটির কোন কোন সদস্যের বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রচার হইয়াছে বলিয়া দুঃখ প্রকাশ করিতেছে। আগামী বৎসরে বিশেষ সঙ্কটজনক পরিস্থিতির উদ্ভবের সম্ভাবনা এবং যেহেতু ঐ সঙ্কটক্ষণে একমাত্র মহাত্মা গান্ধীই কংগ্রেস ও দেশকে বিজয়ের পথে পরিচালিত করিতে সক্ষম, সেই হেতু এই কমিটি মনে করে যে কংগ্রেসের কার্য্যনির্বাহক কর্ত্তৃপক্ষের প্রতি মহাত্মাগান্ধীর পূর্ণ আস্থা থাকা একান্ত প্রয়োজন। অতএব, রাষ্ট্রপতির নিকট এই কমিটির অনুরোধ, তিনি যেন গান্ধীজীর ইচ্ছা অনুযায়ী আগামী বৎসরের ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করেন।”

 পন্থজীর প্রস্তাবে বলা হইয়াছে, অতীতে কংগ্রেসে গান্ধীজীর পরিচালনাধীনে একটি নির্দ্দিষ্ট কর্মপন্থা অনুসৃত হইয়াছে। কিন্তু, ইহা সম্পূর্ণ সত্য নহে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ও পণ্ডিত মতিলালের নেতৃত্বে কংগ্রেসে স্বরাজ্যদল নামে একটি বিশিষ্ট দল গঠিত হয়। স্বরাজ্যদলের কর্মপন্থা মহাত্মা গান্ধীর নির্দ্দেশে উদ্ভাবিত ও অনুসৃত হয় নাই।

 সুভাষচন্দ্র ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যের প্রতি অপমানসূচক উক্তি করিয়াছেন পন্থজীর প্রস্তাবে এইরূপ বলা হইয়াছে। কিন্তু সুভাষচন্দ্র নিজেই বহুবার বলিয়াছেন যে, তিনি কাহারও প্রতি বা কাহাকেও উদ্দেশ্য করিয়া কোনও অভিযোগ করেন নাই। তাঁহার সহিত দক্ষিণপন্থীদের যে পার্থক্য তাহা আদর্শ ও নীতির পার্থক্য—ব্যক্তিবিশেষের প্রশ্ন এখানে উঠে না। প্রস্তাবের উত্থাপক পন্থজী নিজেও স্বীকার করিয়াছেন, ব্যক্তিগতভাবে সভাপতির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করা তাঁহার অভিপ্রেত নয়। পন্থজী ও রাষ্ট্রপতির স্বীকারোক্তির পরেও ঐ অংশটি যে কেন তুলিয়া দেওয়া হইল না তাই আমাদের বোধগম্য নয়। দক্ষিণপক্ষের জেদ—পন্থ প্রস্তাবের একটি ‘কমা’ও পরিবর্ত্তন করা চলিবে না।

 কংগ্রেসের গঠনতন্ত্র অনুসারে কংগ্রেস সভাপতি নিজমতানুযায়ী কর্ম-পরিষদ গঠনের সম্পূর্ণ অধিকারী। পন্থ-প্রস্তাবের দ্বারা সভাপতির