পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
২৮৯

সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁহার আচরণ ধীর, স্থির, অথচ অতীব দৃঢ়। তিনি কদাচিৎ হাসিতেন। কিন্তু হাসিলে মৃদু ও মধুর হাসি হাসিতেন। আমার মনে হয় হৃদয়াবেগ ও ন্যায়যুক্তির মধ্যে তিনি অবিচলিত সাম্য রক্ষা করিয়া চলিতেন।”

 হাগিওয়ারার বর্ণনায় সুভাষচন্দ্রের চিন্তাশীল ব্যক্তিত্ব, নিবিষ্ট ও ধ্যানগম্ভীর প্রকৃতি জীবন্ত হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে। মুক্তি সংগ্রামের শহিদের বিগ্রহ মুক্তি-পূজারী সুভাষচন্দ্রের অন্তরে এক অনির্ব্বচনীয় অনুভূতি জাগাইয়া দিয়াছে। হৃদয়াবেগ ও দৃঢ়চিত্ততা যুক্ত হইয়া তাঁহাকে দিব্যকান্তি ও অনুপম সৌন্দর্য্য দান করিয়াছে।

 সুভাষচন্দ্রের বিনয়-নম্র, অমায়িক ও মধুর ব্যবহার সকলের চিত্ত জয় করিয়া লইয়াছিল। তাঁহার স্নেহসিক্ত অন্তঃকরণ, ক্ষমাশীল উদার মনোভাব কঠোর ব্যক্তিত্বে কোমলতা ও মাধুর্য্য মাখাইয়া দিয়াছে। ১৯৪৩ সালের ৯ই জুলাই শ্রীমতী ম—তাঁহার “বিদ্রোহিনী তনয়ার ডায়েরী”তে লিখিয়াছেন—There is something very lovable in the way our Netaji behaves with the people. He is very considerate to woman and children. He is never rude, even when the crowd gets out of hand and jostles him in its keenness to see him or touch him. Yesterday Netaji visited our office. An old lady at thę gate tried to touch his feet. He lifted her up and made her give him blessings on his bent hed. He called her ‘mother’.

 টোকিওতে বাল-সেনাদলের (Cadet corps) নিকট এক পত্রে সুভাষচন্দ্র লিখিয়াছিলেন— “I have no sons of my own; you are my sons.” (আমার নিজের কোন ছেলে-মেয়ে নাই—তোমরাই