পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSb" বিবিধ প্ৰবন্ধ পৌরুষেয়ত্ব প্ৰায় সৰ্ব্বত্র স্বীকৃত হইয়াছে-কদাচিৎ অপৌরুষেয়ত্বও কথিত হইয়াছে। কিন্তু পরবত্তী টীকাকার ও দার্শনিকেরা প্ৰায় অপৌরুষেয়ত্ব-বাদী। র্তাহাদিগের মত নিয়ে লিখিত হইতেছে। ( ১৯ ) সায়নাচাৰ্য্য বেদার্থপ্রকাশ নামে ঋগ্বেদের টীকা করিয়াছেন। তাহাতে তিনি বলেন যে, বেদ অপৌরুষেয় । কিন্তু বেদ মনুষ্যকৃত নহে বলিয়াই অপৌরুষেয় বলেন । ( ২০ ) সায়নাচাৰ্য্যের ভ্রাতা মাধবাচাৰ্য্যও বেদার্থপ্রকাশ নামে তৈত্তিরীয় যজুৰ্ব্বেদের টীকা করিয়াছেন। তিনি বলেন, বেদ নিত্য। তবে তিনি এই অর্থে নিত্য বলেন যে, কাল আকাশাদি। যেমন নিত্য, সেইরূপ বেদ । ব্যবহারকালে কালিদাসাদিবাক্যবং পুরুষবিরচিত নহে বলিয়া নিত্য। এবং তিনি ব্ৰহ্মাকে বেদবক্তা বলিয়া স্বীকার कतिग्नांछ्न । (২১) মীমাংসকেরা বলেন, বেদ নিত্য এবং আপৌরুষেয় । ” শব্দ নিত্য বলিয়া বেদ নিত্য। শঙ্করাচাৰ্য্য এই মতাবলম্বী। (২২) নৈয়ায়িকেরা তাহার প্রতিবাদ করিয়া বলেন, বেদ পৌরুষেয় ।—মন্ত্র ও আয়ুৰ্ব্বেদের ন্যায়, জ্ঞানী ব্যক্তির কথা প্ৰামাণ্য বলিয়াই বেদও প্ৰামাণ্য বোধ হয়। গৌতমসূত্রের ভাবে বেদকে মনুষ্যপ্ৰণীত বলিয়া নির্দেশ করা তাহার ইচ্ছা কি না, নিশ্চিত বুঝা यश व् । (২৩) বৈশেষিকেরা বলেন, বেদ ঈশ্বরপ্রণীত। কুসুমাঞ্জলিকৰ্ত্ত উদয়নাচাৰ্য্যের এই মত مرور ا এই সমস্ত শাস্ত্রের আলোচনা করিয়া দেখা যায় যে, কেহ বলেন, বেদ নিত্য এবং অপৌরুষেয় ; কেহ বলেন, বেদ সৃষ্ট এবং ঈশ্বরপ্রণীত। ইহা ভিন্ন তৃতীয় সিদ্ধান্ত হইতে পারে না । কিন্তু সাংখ্য-প্রবচনকারের মত সৃষ্টিছাড়া । তিনি প্ৰথমতঃ বলেন যে, বেদ কদাপি নিত্য হইতে পারে না ; কেন না, বেদেই তাহার কাৰ্য্যত্বের প্রমাণ আছে-যথা “স তপোহত প্যাত তস্মাৎ তপস্তেপান ত্ৰয়ো বেদা অজায়ন্ত ।” যেখানে বেদেই বলে যে, এই এই রূপে বেদের জন্ম হইয়াছিল, সেখানে বেদ কদাপি নিত্য এবং অপৌরুষেয় হইতে পারে না। কিন্তু যাহা অপৌরুষেয় নহে, তাহ অবশ্য পৌরুষেয় হইবে। কিন্তু ংখ্যকারের মতে বেদ অপৌরুষেয় নহে, পেরুষেয়ও নহে। পুরুষ অর্থাৎ ঈশ্বর নাই বলিয়া তাহা পৌরুষেয় নহে। সাংখ্যকার আরও বলেন যে, বেদ করিতে যোগ্য যে পুরুষ