পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১২ : বিবিধ প্ৰবন্ধ-দ্বিতীয় ভাগ সে সময়ের জমীদারদিগের যেরূপ বর্ণনা দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাতে র্তাহাদিগকেই রাজা বলিয়া বােধ হয় ; তাহার করদ ছিলেন মাত্র। পরাধীনতার একটি প্রধান ফল ইতিহাস এই শুনা যায় যে, পরাধীন জাতির মানসিক স্মৃৰ্ত্তি নিবিয়া যায়। পাঠানশাসনকালে বাঙ্গালীর মানসিক দীপ্তি অধিকতর উজ্জ্বল श्द्देशांश। विछां*डि 5९ीजान लाक्रलाल শ্ৰেষ্ঠ কবিদ্বয় এই সময়েই আবিভূতি ; এই সময়েই অদ্বিতীয় নৈয়ায়িক, ন্যায়শাস্ত্রের নূতন সৃষ্টিকৰ্ত্তা রঘুনাথ শিরোমণি ; এই সময়ে স্মাৰ্ত্ততিলক রঘুনন্দন ; এই সময়েই চৈতন্যদেব ; এই সময়েই বৈষ্ণবগোস্বামীদিগের অপূর্ব গ্রন্থাবলী -চৈতন্যদেবের পরগামী অপূৰ্ব্ব বৈষ্ণবসাহিত্য। পঞ্চদশ ও ষোড়শ খ্রিষ্টশতাব্দীর মধ্যেই ইহাদিগের সকলেরই আবির্ভাব। এই দুই শতাব্দীতে বাঙ্গালীর মানসিক জ্যোতিতে বাঙ্গালার যেরূপ মুখোজ্জল হইয়াছিল, সেরূপ তৎপূর্বে বা তৎপরে আর কখনও হয় নাই। সেই সময়ের বাহা সৌষ্ঠব সম্বন্ধে রাজকৃষ্ণবাবু কি বলিতেছেন, তাহাও শুনুন। “লিখিত আছে যে, হোসেন শাহার রাজ্যারম্ভ সময়ে এতদেশীয় ধনিগণ স্বর্ণপাত্ৰ ব্যবহার করিতেন, এবং যিনি নিমন্ত্রিতসভায় যত স্বর্ণপাত্ৰ দেখাইতে পারিতেন, তিনি তত মৰ্য্যাদা পাইতেন। গৌড় ও পাণ্ডুয়া প্ৰভৃতি স্থানে যে সকল সম্পূর্ণ বা ভগ্ন অট্টালিকা লক্ষিত হয়, তদ্বারাও তাৎকালিক বাঙ্গালার ঐশ্বৰ্য্য শিল্পনৈপুণ্যের বিলক্ষণ পরিচয় পাওয়া যায়। বাস্তবিক তখন এ দেশে স্থাপত্যবিদ্যার আশ্চৰ্যরূপ উন্নতি হইয়াছিল এবং গৌড়ে যেখানে সেখানে মৃত্তিক খনন করিলে যেরূপ ইষ্টক দৃষ্ট হয়, তাহাতে অনুমান হয় যে, নগরবাসী বহুসংখ্যক ব্যক্তি ইষ্টকনিৰ্ম্মিত গৃহে বাস করিত। * দেশে অনেক ভূম্যধিকারী ছিলেন এবং তঁহাদিগের বিস্তর ক্ষমতা ছিল ; পাঠানরাজ্য ধ্বংসের কিয়ৎকাল পরে সঙ্কলিত আইন, আকবরিতে লিখিত আছে যে, বাঙ্গালার জমীদারেরা-২৩,৩৩০ অশ্বারোহী, ৮,০১,১৫৮ পদাতিক, ১৮০ গজ, ৪,২৬০ কামান এবং ৪,৪০০ নৌকা দিয়া থাকেন। এরূপ যুদ্ধের উপকরণ যাহাদিগের ছিল, তাহাদিগের পরাক্রম নিতান্ত কম , छिल न ।।” TSLSSSAASSASSMS SMMSSqqSLLSMMMMSASMAASSAASAASAASAASS SSSS LSLS S

  • গৌড়ের ইষ্টক লইয়া, মালদহ, ইংরেজবাজার, ভোলাহাট, রাইপুর, গিলাবাড়ী, কাসিমপুর প্রভৃতি অনেকগুলি নগর নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই সকল নগর অট্টালিকাপুর্ণ, কিন্তু তথায় অন্য কোন ইষ্টক ব্যবহৃত হয় নাই। গৌড়ের ইষ্টক মুরশিদাবাদের ওব্লাজমহলের নির্মাণেও লাগিয়াছে। এখনও যাহা আছে, তাহাও অপরিমিত। গৌড়ের ভগ্নাবশেষের বিস্তার দেখিয়া বোধ হয় যে, কলিকাতা অপেক্ষা গৌড় अgनक बद्ध छिल ।