পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VGV) दिविथ थवक-चिडीशू छांश পঞ্চম পরিচ্ছেদ * অনাৰ্য্য বাঙ্গালী জাতি বাঙ্গালার মধ্যে মাল ও মালো বলিয়া দুইটি জাতি আছে। রাজমহল জেলার অন্তৰ্গত মালপাহাড়িয়া বলিয়া একটি অনাৰ্য্য জাতি আছে ; তাহারা কোন আৰ্য্যভাষা কহে না। কিন্তু বাঙ্গালী মালের বাঙ্গালা কথা কয় এবং বাঙ্গালী বলিয়া গণ্য। জেনেরল কনিংহাম প্ৰাচীন রোমীয় লেখক প্লিনি হইতে দুইটি বাক্য উদ্ধত করিয়া দেখাইয়াছেন যে, তখনও মালেবা বলিয়া জাতি ভারতবর্ষে ছিল। পুরাণাদিতে মালবের প্রসঙ্গ ভূয়োভূয়: দেখা যায় এবং মেঘদূতে মালবদিগের নাম উল্লেখ আছে। অতএব এখন যেমন মালজাতি আছে, প্ৰাচীন মালজাতিও সেইরূপ ছিল। কিন্তু প্লিনি যে ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন, তাহাতে বোধ হয় যে, মালের আর্য্যজাতি হইতে একটি পৃথক জাতি ছিল। জেনারেল কনিংহাম বলেন, এই প্লিনির লিখিত মালের টলেমি প্ৰণীত মণ্ডলজাতি। টলেমিলিখিত মণ্ডলজাতি আধুনিক মুণ্ড কোলজাতি বলিয়া অনুমিত হইয়াছে। বিভারলি সাহেব অনুমান করেন যে, ঐ প্লিনির লিখিত মালজাতি এখনকার বাঙ্গালী মাল। এখন বাঙ্গালার বাহিরে যেখানে মাল নাম পাই, সেইখানে সেইখানে অনাৰ্য্যদিগকেই দেখিতে পাই। কান্দু নামক অতি অসভ্য অনাৰ্য্যজাতির দেশের বিভাগকে মাল বা মালো বা মালিয়া বলে। ‘’ অনাৰ্য্যপ্রধান মানভূম প্ৰদেশকে মালভূম বা মল্লভূমি বলে। রাজমহলের দ্রাবিড়বংশীয় অনাৰ্য্য পাহাড়িদিগকে মালের জাতি বলে। উড়িষ্যার কিউবড় নামক আরণ্য রাজ্যে ভূইয়া নামক এক অনাৰ্য্যজাতি আছে, তাহাদের একটি থাকের নাম মালভূইয়া। গ্রু বুকানন হামিণ্টন ভাগলপুর জেলার ভিতরে বন্য জাতির মধ্যে মালেব বলিয়া একটি অনাৰ্য্যজাতি দেখিয়াছিলেন । কঁাধ্যদিগের মালিয়া বলিয়া একটি জাতি আছে। $ রাজমহলীর মাল পাহাড়িদিগের কথা পূর্বেই বলিয়াছি। পক্ষান্তরে আর্য্যদিগের মধ্যে মল্ল শব্দ আছে— অনেকে বলেন, এই মালেরা আৰ্য্যমল্ল। আৰ্য্যমল্ল হইতে মালজাতির উৎপত্তি, না অনাৰ্য্য মল্পগণ বাহুযুদ্ধে কুশলী বলিয়া আৰ্যভাষায় বাহুযোদ্ধার নাম মল্ল হইয়াছে ? মালেরা যে অনাৰ্য্যজাতি হইতে উদ্ভূত হইয়াছে, তাহা এক প্রকার স্থির বলা যাইতে পারে।

  • বঙ্গদর্শন, ১২৮৮), বৈশাখ । s t Dalton, P. 299. Dalton, P. 145. S Dalton, P. 298.