বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদনশী ১ । যশোর জন্য লিখিবেন না । তাহা হইলে যশও হইবে না, লেখাও ভাল হইবে না । লেখা ভাল হইলে যশ আপনি আসিবে । ২ । টাকার জন্য লিখিবেন না । ইউরোপে এখন অনেক লোক টাকার জন্যই লেখে, এবং টাকাও পায় ; লেখাও ভাল হয় । কিন্তু আমাদের এখনও সে দিন হয় নাই । এখন অর্থের উদ্দেশে লিখিতে গেলে, লোক-রঞ্জন-প্ৰবৃত্তি প্ৰবল হইয়া পড়ে। এখন আমাদিগের দেশের সাধারণ পাঠকের রুচি ও শিক্ষা বিবেচনা করিয়া লোক-রঞ্জন করিতে গেলে রচনা বিকৃত ও অনিষ্টকর হইয়া উঠে । ৩ । সন্দি মনে এমন বুঝিতে পারেন যে, লিখিয়া দেশের বা মনুষ্যজাতির কিছু মঙ্গল শ্ৰ ধন করিতে পারেন, অথবা সৌন্দৰ্য্য সৃষ্টি করিতে পারেন, তবে অবশ্য লিখিবেন । র্যাহারা অন্য উদ্দেশ্যে লেখেন, তঁাহাদিগকে যা এাওয়ালা প্রভৃতি নীচ ব্যবসায়ীদিগের সঙ্গে গণ্য করা যাইতে পাৱে । ৪ । যাহা অসত্য, ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ ; পরনিন্দ বা “রাপীড়ন বা স্বার্থসাধন যাহার উদ্দেশ্য, BDB BBDD BBD BDBDD DBDBB DkBBBD S KSJDBS DS kkDDD DBBBS GE BBBBB KBBB SS DBY ও ধৰ্ম্মই সাহিত্যের উদ্দেশ্য । অন্য উদেশে লেখনী-ধারণ মহাপাপ । ৫ । যাহা লিখিবেন, তাহা হঠাৎ ছাপাইবেন না । কিছু কাল ফেলিয়া রাখিবেন । কিছু কাল পরে উহা সংশোধন করিবেন । তাহা হইলে দেখিবেন, প্ৰবন্ধে অনেক দোষ আছে । কাব্য নাটক উপন্যাস দুই এক বৎসর ফেলিয়া রাখিয়া, তার পর সংশোধন করিলে বিশেষ উৎকৰ্ষ লাভ করে । র্যাহারা সাময়িক সাহিত্যের কাৰ্য্যে ব্ৰতী, তাহাদের পক্ষে এই নিয়ম রক্ষাটি ঘটিয়া উঠে না। এ জন্য সাময়িক সাহিত্য, লেখকের পক্ষে অবনতিকর । ৬ । যে বিষয়ে যাহার অধিকার নাই, সে বিষয়ে তাহার হস্ত%ে.%{ণ আকৰ্ত্তব্য । এটি সোজা কথা, কিন্তু সাময়িক সাহিত্যতে এ নিয়মটি রক্ষিত হয় না ! ৭। বিদ্যা প্ৰকাশের চেষ্টা করিবেন না । বিদ্যা থাকিলে, তাহ। আপনিই প্ৰকাশ পায়, চেষ্টা করিতে হয় না । বিদ্যা প্ৰকাশের চেষ্টা পাঠকের অতিশয় বিরক্তিকর, এবং রচনার পারিপাট্যের বিশেষ হানিজনক । এখনকার প্রবন্ধে ইংরাজি, সংস্কৃত, ফরাশি, জৰ্ম্মান কোটেশন বড় বেশী দেখিতে পাই । যে ভাষা। আপনি জানেন না, পরের গ্রন্থের সাহায্যে সে ভাষা হইতে কদাচি উদ্ধৃত করিবেন না। भी ©ibब्र, ४२० , भोंप ।
