পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ বিবিধ কথা মেলিয়াছিলেন–কিন্তু কেবল চক্ষে আলো নয়, এযুগের অনলকুণ্ড তাহার বক্ষে অহরহ জলিয়াছিল—তাহার চক্ষের সে আলোক জগতের সকল সমস্ত ও সংশয়সঙ্কটের উপর প্রতিফলিত হইয়াছিল। মঃ রোলার কথাগুলি পূৰ্ব্বে উদ্ধৃত করিয়াছি। উভয়েই গুরুশিষ্যের মধ্যে এই প্রভেদ লক্ষ্য করিয়াছেন, কিন্তু কেহই বুঝিতে পারেন নাই যে, গুরুশিন্তে এখানে প্রভেদ নাই। একজন জীবনের ভিতর দিয়া, বাস্তব অভিজ্ঞতার ভাবনাবেদনা দিয়া যাহা বুঝিয়াছিলেন এবং বুঝিয়া প্রচণ্ড হৃদয়াবেগে অধীর হইয়া কৰ্ম্মপ্রবাহে ঝাপাইয়া পড়িয়াছিলেন—আর একজন ব্রহ্মসাক্ষাৎকারের ফলেই তাহ উপলব্ধি করিয়াছিলেন, সে উপলব্ধি আরও গৃঢ়, আরও গভীর ; এবং গভীর ও সীমাহীন বলিয়াই তাহ কোন কৰ্শ্ববিধিকে আশ্রয় করিতে পারে নাই ; সেই জন্যই একটি নদীপ্রবাহে নিজের সেই তটহীন প্রেমকে প্রবাহিত করিবার জন্য তিনি ব্যাকুল হইয়াছিলেন। নরেন্দ্রের উদ্ধত জ্ঞানাভিমান ও প্রচণ্ড স্বাতন্ত্র্যপূহ র্তাহার বড় ভাল লাগিয়াছিল ; কিন্তু তিনি আপনার কথাটি তাহাকে বুঝাইতে পারিতেছেন না দেখিয়া বলিয়াছিলেন—“নরেন যেদিন, জগতের দুঃখ-দারিদ্র্য স্বচক্ষে দেখিবে সেইদিন উচ্চার সব অভিমান চর্ণ তইবে, সারা প্রাণ অসীম করুণায় গলিয়া যাইবে।” ইহারই উল্লেখ করিয়া মঃ রোলা বলিতেছেন— This meeting with suffering and human misery... was to be the flint upon the steel, whence a spark would fly to set the whole soul on fire. And with this as its foundation-stone, pride, ambition and love, faith, science and action, all his powers and all his desires were thrown into the mission of human service