bペ বিবিধ কথা অধ্যয়ন করিলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, রামমোহন ধৰ্ম্মের জন্যই কোনও ধৰ্ম্মবিধির পক্ষপাতী ছিলেন না—প্রত্যক্ষ প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য সাধন করিয়া জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করাই তাহার আদর্শ ছিল । সকল হৃদয়বৃত্তিই কুসংস্কারমূলক—পৌত্তলিকতা এই হৃদয়-দৌৰ্ব্বল্য ও বুদ্ধিমান্দ্যের আকর ; সেই নীতিই উৎকৃষ্ট নীতি, যাহা মানুষকে আত্মপ্রতিষ্ঠার অবাধ স্বাধীনতা দেয়, সৰ্ব্বপ্রকার সামাজিক বন্ধন ও আধ্যাত্মিক আত্মনিগ্ৰহ হইতে মুক্তি দেয় ; সমাজ বা ধৰ্ম্মের গণ্ডি হইতে বহির্গত হইয়া সাৰ্ব্বভৌমিকতার ক্ষেত্রে দাড়াইতে পারিলেই মানুষের মনে আর কোন ও বাধা থাকে না—একটা অতি উদার যুক্তিবাদের আশ্বাসে, দেশ সমাজ ও স্বজনের প্রতি ক্ষুদ্র কৰ্ত্তব্যের কন্টক-পীড়ন হইতে সে অব্যাহতি লাভ করে, আপনার জীবন আপনার মনের মত করিয়া গড়িয়া লইবার অবকাশ পায় । রামমোহন র্তাহার জীবনে অতি অল্প বয়স হইতেই এই ব্যক্তি-ধৰ্ম্মের প্রেরণা লাভ করিয়াছিলেন ; প্রথমে নিজের পরিবারের সঙ্গে এবং পরে স্বজাতীয় সমাজের সঙ্গে তাহার ব্যবহার হইতে র্তাহার এই আদর্শ আরও স্পষ্ট হইয়া উঠে। রামমোহন জীবনে কখনও কোনও ত্যাগ স্বীকার করেন . নাই—ধৰ্ম্ম, দেশ বা সমাজের জন্য তিনি যতই চিন্তা করিয়া থাকুন, তজ্জন্য কোনও দিকে তাহাকে কখনও ক্ষতিগ্রস্ত হইতে হয় নাই । তিনি বুদ্ধিমানের মত অর্থোপার্জন করিয়াছিলেন, পান-ভোজন ও বিলাস-ব্যসনে তাহাকে কখনও অভাব ভোগ করিতে হয় নাই। এই যে রামমোহন—এই ব্যক্তি-স্বাধীনতাকামী, সৰ্ব্বসংস্কারমুক্ত, শত্রুঞ্জয়, ভোগী, মেধাবী, আত্মোন্নতিসাধনে সিদ্ধপুরুষ—ইনি বিস্ময় উৎপাদন করিবার মত চরিত্র বটে। কিন্তু এ আদর্শ খুব বড় আদর্শ নয়। এইরূপ নীতিমার্গে বিচরণ
