না বসে গুঞ্জরি সখি, শিলীমুখ যথা
শ্বেতাম্বরা ধুতুরার নীরস অধরে,
হেরি অভাগীরে দূরে ফিরে অধোমুখে
যুবকুল; কাদি আমি বসি লো বিরলে!
সুভদ্রা-হরণ
প্রথম সর্গ
কেমনে ফাল্গুনি শূর স্বগুণে লভিলা
(পরাভবি যদু-বৃন্দে) চারু-চন্দ্রাননা
ভদ্রায়;—নবীন ছন্দে সে মহাকাহিনী
কহিবে নবীন কবি বঙ্গবাসি-জনে,
বাগ্দেবি, দাসেরে যদি কৃপা কর তুমি।
না জানি ভকতি, স্তুতি; না জানি কি কয়ে,
আরাধি, হে বিশ্বারাধ্যে, তোমায়; না জানি
কি ভাবে মনের ভাব নিবেদি ও পদে!
কিন্তু মার প্রাণ কভু নারে কি বুঝিতে
শিশুর মনের সাধ, যদিও না ফুটে
কথা তার? কৃপা করি উর গো আসরে।
আইস, মা, এ প্রবাসে, বঙ্গের সঙ্গীতে
জুড়াই বিরহ-জ্বালা, বিহঙ্গম যথা,
কারাবদ্ধ পিঁজিরায়, কভু কভু ভুলে
কারাগার-দুখ, স্মরি নিকুঞ্জের স্বরে!
ইন্দ্রপ্রস্থে পঞ্চ ভাই পাঞ্চালীরে লয়ে
কৌতুকে করিলা বাস। আদরে ইন্দিরা
(জগত-আনন্দময়ী) নব-রাজ-পুরে