পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ଛ8 বিবিধ প্ৰবন্ধ । বাসনা হওয়া উচিত। দরিদ্র লোক বড় লোকের অনুকরণ করিতে গিয়া অধঃপতনের পন্থা পরিষ্কৃত করে মাত্র । উৎপাদিত ধনের অনুপাতে ভোগের খরচ অল্প হইলেই দেশের অবস্থা উন্নত হয় বলা যায়। ইংলণ্ডে লোকবৃদ্ধির অনুপাতে যে পরিমাণ ধন উৎপাদিত হইতেছে, ভারতবর্ষে লোকবৃদ্ধির অনুপাতে তাহার অনেক অল্প ধনের উৎপত্তি হয়। পাশ্চাত্য সভ্যতার সঙ্ঘর্ষে ভারতবাসীর ভোগবাসনা বৃদ্ধি পাইতেছে, কিন্তু ধনােৎপাদন-বাসনা বৃদ্ধি পাইতেছে না । তাহার আয় অপেক্ষা ব্যয় অধিক হইতেছে। প্ৰত্যেক ভারতবাসীই অবশ্য একথা স্বীকার করিবে যে, কেবল দ্রব্যাদির পণ বাড়িতেছে, এমত' নহে, বহুবিধ দ্রব্যের ভোগবাসনাও বৃদ্ধি পাইতেছে। পুর্বে যে কৃষক মৃত্তিকার মধ্যে মৃৎপাত্রে নিজের টাকা রাখিয়া নিশ্চিন্ত হইত, আজি কালি পাট ও শম্ভ বিক্রয়ের পর একটী রঙচঙে টীনের ক্যাশ বাক্সে সে এখন টাকা রাখিয়া পূৰ্বপেক্ষা অধিক নিশ্চিন্ত হইতেছে। এরূপ অধিক নিশ্চিন্ত হইবার যে কোনই কারণ নাই, তাহা সে একবার নিজে ভাবিয়া দেখিতেছে না, অপরেও তাহাকে বুঝাইবার চেষ্টা করিতেছে না। সকল বিষয়ে ভারতবাসী নানাবিধ দ্রব্য ভোগ করিয়া অধিক ব্যয় করিতে এক প্ৰকার কৃতসঙ্কল্প । লোকে কথায় বলে “রোজগার নাই, বাবুয়ানী আছে।” সমগ্ৰ ভারতবাসীর পক্ষে এই কথা প্ৰযোজ্য। চটের কলে ছুটীর সময় একবার যাইলেই দেখা যাইবে, শ্রমিকদের গায়ে রঙিন জামা, উড়াণী, পায়ে মোজা জুতা, মুখে সিগারেট । আহারীয় দ্রব্যের পণ বৃদ্ধি হওয়ায় তাহার অর্থপরিমিত বেতন বৃদ্ধিতে যথার্থ বেতন বৃদ্ধি হয় নাই ; অধিকন্তু জুতা জামা ইত্যাদির ভোগবিলাসে তাহদের ধন নাশ হইতেছে। সভ্য জগতে বাতি জ্বালিতে ও অন্যান্য বিষয়ে দেশলাই ख्वादश्Jक ठूद्म, किङ्ख् শেলাইয়ের अङांद 5ायीव्र विलंब अडि श्न नां । দুই চারিটি দেশলাইয়ে তাহার সংবৎসরের আবশ্যক কাৰ্য্য সিদ্ধ হইতে