পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশের হিন্দুর অবস্থান্তর উপায়। \} e^) না। আমরা আরও দেখিতেছি যে চরিত্রের গঠন হয় নাই বলিয়া আমাদের বাজার-সন্ত্রম অল্প । আমরা প্রতিজ্ঞা করিয়। পালন করিতে না পারিলে আমরা সমাজে ক্ষতিগ্ৰস্ত হই না, এই জন্য প্ৰতিজ্ঞা-পালনে চেষ্টা করি না । আমাদের বাজার সন্ত্রম অল্প বলিয়া অময়া অল্প সুদে বিদেশী মূলধন ( কল কাজা ইত্যাদি ধন সামগ্রী) ধারে ক্রয় করিতে পাই না । এইরূপ স্থলে সমগ্ৰ সমাজের এই উদ্দেশ্যে সমবেত চেষ্টা ধনোৎপাদিনীশক্তির অন্যতম বলিয়া বিবেচিত হইবে। এই শক্তির বলে ব্যক্তিগত স্বার্থ এরূপভাবে নিয়ন্ত্রিত করিতে হইবে, যাহাতে দেশের অধিক মূলধন সৃষ্ট হইতে পারে অথবা বহু সংখ্যক লোক কাৰ্য্য বিশেষে শ্রম-বিভাগ প্রথায় নিযুক্ত হইয়া উৎপন্ন ধন সামগ্রীর অংশ গ্রহণ করিয়া অন্য পথগামী হইতে পারে । এই অল্প ক্রয়কারিণী শক্তি উপাৰ্জন করিয়া তদ্বিনিময়ে সামাজিক ক্রিয়াকলাপে আমরা ভোগের অথবা শোভাবৰ্দ্ধনের নিমিত্ত যে সকল সামগ্ৰী ক্রয় করি, সেগুলি হইতে বিশেষ কোন ফল পাই না। আমাদের সমাজ এখন নিত্য নুতন ভাব ধারণ করিতেছে। সমাজস্থায়িত্ব নামে শাশ্বত বা চিরন্তন । কালের প্রভাবে সমাজে নুতন ভােব পরিলক্ষিত হয়। সামাজিক ব্যক্তি মাত্রেরই কাৰ্য্যপরম্পরার ফলসমষ্টি সমধৰ্ম্মান্বিত হইয়া মঙ্গলের দিকে প্ৰধাবিত হইলে সেই সমাজে শ্ৰী পরিলক্ষিত হয়, এবং বিপরীত বিধির অনুবৰ্ত্তনে সমাজ-শ্ৰী দুরে চলিয়া যায় এবং সামাজিক ব্যক্তি মাত্রের মুখে নৈরাশ্য ও স্তিমিতভােব পরিদৃশ্যমান হইয়া থাকে। আমাদের এই সমাজে উহা সম্পূর্ণভাবে পরিলক্ষিত হইতেছে। অল্প বয়সে বিবাহ হইলে অল্প বয়সেই জনক জননী হইতে হয়। ইহাদের পুত্ৰ কন্যাগুলি যে দুৰ্বল ও মেধাহীন হইবে, তাহাতেই বা সন্দেহ কি ? এবং দুর্বল ও মেধাহীন বালকবালিকা দ্বারা আৰ্য্য জাতির গৌরব