পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংসৰ্গ । মানব প্ৰকৃতি সংসৰ্গপ্রিয়। ব্যক্তিবিশেষের প্রকৃতি অনেক স্থানে তাহাদের সংসৰ্গ হইতে অনুমিত হয়- এবং প্ৰকৃতি বিশেষের অভিন্নBDBD DBDBBB DBDDD D BDBBDB SS BBDB DDDS S DBB BDD ংসর্গ দেখিলেই বুঝিতে হইবে শেষোক্ত ব্যক্তি কুচক্রীর চক্ৰে পড়িয়াছেন এবং অনতিবিলম্বেই পরস্পরের বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী। পক্ষান্তরে অপূৰ্বপরিচিত দুইজন কুচক্রীকে সহসা চিরবন্ধুতা-সুত্রে আবদ্ধ হইতে দেখা যায় এবং “রতনে রতন চেনে” এ কথার যাথার্থ্য সম্যক উপলব্ধ হইয়া থাকে। “সৎসঙ্গে কাশীবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ” এ কথা সর্বজনবিদিত । অথচ জগতে প্ৰকৃত সাধু ও অসাধুৱ অধিক সঙ্গী দেখিতে পাওয়া যায় না। অসৎসঙ্গ আশ্রয় করিলে পরিণাম-কঠোর দূষিত কাৰ্য্যে আসক্ত হইতে হয়, হৃদয়ের সদগুণ বিতাড়িত হয়, অতি তুচ্ছ কারণে লোকগহিত কৰ্ম্ম সম্পাদনা করিতে কুণ্ঠ বোধ হয় না। চৌৰ্য্যবৃত্তির আপাত মধুর সুখের ফলে কারাগৃহ গমন, মিথ্যাবাদীর প্রতি জগতের অবিশ্বাস ইত্যাদি, পরিণাম-নিৰ্দেশক উপদেশের অভাব নাই এবং সৎসঙ্গের যে অসীম গুণ, তাহ বাল্যকাল হইতে পুস্তকে শিক্ষা করিতে হয়। কিন্তু শক্ষা করা এক সামগ্রী এবং প্রকৃতি গঠন করা আর এক সামগ্ৰী । প্রাত্যহিক মিলনে শৈশবে প্ৰকৃতির ভাঙ্গা-চোরা হইতে হইতে গঠন-কাৰ্য্য সাধিত হইতে থাকে। বাল্যকালে একত্র খেলা ও একত্র পড়াশুনা করিতে করিতে প্ৰকৃতির ওলট পালট হয় এবং পরে ব্যক্তিগত প্ৰকৃতি পার্থক্য বা স্বাধীন প্ৰকৃতির ক্রমবিকাশ হইতে দেখা যায়। তথাপি কি শৈশবে, কি যৌবনে, কি পরে মিশ্ৰিত প্ৰকৃতির মানবের সহিত সাক্ষাতের সম্ভাবনা নিত্য ঘটিয়া থাকে। ইহ সংসারে সুবিদ্বান। অথচ চরিত্রহীন