পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌজন্য (łX. ব্যবহারে এথেন্মবাসীদের হৃদয়-বীণা যেন হঠাৎ বাজিয়া উঠিল এবং নিজেদের সন্ধীর্ণতার স্নানছবি যেন তাহাদের সম্মুখে দেখিতে পাইয়া, তাহারা সমস্বরে উহাদিগকে অভিবাদন করিল। বৃদ্ধ কিন্তু উঠিয়া, বলিলেন, এথেন্সবাসীরা ভদ্রতা কি তাহ জানেন, কিন্তু স্পাটাবাসীরা DD DBDBDDBD BBBB KBBB SS SKBDB BBDDSDDDSgD BDDD BDDBB করা হয় নাই” ইহা অনেকেই অনুভব করিতে পারেন, কিন্তু নিজে ভদ্র ব্যবহার করিলেন। কিনা অনেকে তাহা সম্যক উপলব্ধি করিতে অক্ষম, অথবা কল্পিত কারণে তাহা বুঝিয়াও বুঝেন না । মানবের আচার ব্যবহার, চালচলন, ধরণ ধারণ কতকটা তাহার অন্তঃপ্রকৃতির বাহ বিকাশ বলা যাইতে পারে। ইহা দ্বারা তাহার রুচি, পরদুঃখে বা সুখে নিজের মত করিয়া তাহার অনুভব করিবার শক্তি এবং তাহার মেজাজের কতকটা পরিচয় পাওয়া যায় । এই ংসার-ক্ষেত্রে ক্রিয়া-কলাপ বা কৰ্ম্ম-সুত্ৰে, যে খসকল লোকের সংস্পর্শে আসিতে হয়, তাহাদের সকলকে আদর আপ্যায়নে মুগ্ধ করিয়া কাৰ্য্য সাধন করিতে পারিলে জগতের সুখপ্ৰবাহ সমভাবেই চলিতে থাকে। এ জগতে রাজরাজেশ্বর ভিন্ন সকল লোকেরই সমানাব্যস্থ ও উপরিতন ব্যক্তি বর্তমান ; এবং অধীন ব্যক্তিইবা কাহার নাই ? জগদীশ্বর যেরূপ সকল ব্যক্তিকে সমভাবে সূৰ্য্যরশ্মি ও বৃষ্টি দান করেন, সেরূপ কিন্তু সমভাবে ধনের বা সম্পদের অধিকারী হইতে দেন না । এই জন্যই এ জগতে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার লোক পরিদৃষ্ট হয় এবং এই অবস্থার বিভিন্নতাই বোধ হয় মানব মাত্রকে সৌজন্যের আবশ্যকতা অনুভব করিতে দেয়। উপরিতন ব্যক্তির প্রতি সৌজন্য-প্ৰদৰ্শন ও অভিবাদন করা বড় বেশী কথা নহে; কিন্তু তঁাহার নিকট যেরূপ সৌজন্য প্ৰত্যাশা করা যায়, তাহা সকল সময় প্রদর্শিত হয় কিনা সন্দেহ । উপরিতনেরও উপরিতন আছেন এবং অধীনের প্রতি সৌজন্য প্ৰকাশ করিলে যে তাহা