বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to” বিবিধ প্রবন্ধ । চেষ্টা করিত। এক্ষণে কেহই সেই চেষ্টা করেন না। কিন্তু তাছারাও জানিয়া ছিলেন যে অমর হওয়া অতীব দুঃসাধ্য। এই জন্ত ধৰ্ম্মোপদেশকগণ অমর হইবার অতি কঠিনতর উপায় সমস্ত নির্দেশ করিয়াছেন, এবং সেই সুযোগে লোক সকলকে ধৰ্ম্মেপদেশ দানকরণের মানসে প্রায়ই এমত অভিপ্রায় ব্যক্ত করিয়াছেন যে, ধৰ্ম্মই অমর হইবার একমাত্র উপায় । পুরাণে আছে, স্বরস্থির মিলিত হইয়া সমুদ্র মন্থন দ্বারা অমৃত উদ্ভাবিত করেন, পরস্তু সত্ত্বপ্রধান দেবতারাই সেই অমুত ভক্ষণ করিয়াছিলেন । মনুষ্যগণের মধ্যেও কেহ কেহ কঠোর তপস্যা সহকারে দেবতার স্থানে অমর বর যাঞ্জা করেন। ফলতঃ অমর হওয়া অথবা মরিলে পুনৰ্ব্বার জীবিত হওয়া—ইহা পূৰ্ব্বকালে অসঙ্গত-বলিয়া বোধ হইত না । মিশর দেশীয়েরা শবকে দাহ বা অন্ত প্রকারে বিনষ্ট করিত না, তাহদের মতে জীবাত্মা শরীর ত্যাগ করিয়া বহুকাল পরে, পুনৰ্ব্বার সেই শরীরে আসিয়া অধিষ্ঠিত হইতে পারেন। এই বিশ্বাস বশতঃ মিশরীয়ের পিরামিড’ নামক অতি প্রধান প্রধান সমাধি স্তম্ভের গর্ড মধ্যে শব রক্ষা করিত । গ্ৰীকদিগেরও এমত বোধ ছিল যে, এই মর্ত্যলোকে কেহই অমর হইতে পাঞ্জে না বটে, কিন্তু দেবতারা অনুগ্রহ করিলে মনুষ্যদিগকে সশরীরে স্বর্গে লইয়া যাইতে পারেন এবং তথায় যাইলে মৃত্যুর অধিকার থাকে না । মুসলমানদিগের ধৰ্ম্মণাস্ত্ৰে মৰ্ত্ত্যে অমর হুইবার প্রসঙ্গ নাই। কিন্তু র্তাহীদের অন্যান্ত গ্রন্থে এমত অভিপ্রায় প্রকাশিত আছে যে, দ্রব্যগুণ বিশেষের দ্বারা লোকে জমর হইতে পারে । বাইবেলে স্পষ্টই প্রকাশিত আছে যে, ঈশ্বর প্রথমে মনুষাকে অমর করিয়া স্বষ্টি করিয়াছিলেন, পরে আদিম মানব পাপাসক্ত হওয়াতে তিনি ঈশ্বর কর্তৃক অভিশপ্ত হইয়া মৰ্ত্ত্য হুইলেন । বাইবেলে ইহাও প্রকাশিত আছে যে, কোন ধৰ্ম্মাত্মাব্যক্তি জগদীশ্বর প্রসাদাং সশরীরে স্বর্গারূঢ় হয়েন, সুতরাং তাহার মৰ্যদেহ মৃত্যু কবলিত হয় নাই । বস্তুতঃ সৰ্ব্ব জাতির শাস্ত্রেই এই উপদেশ যে, ধাৰ্ম্মিক ন হইলে অমর হওয়া যায় না। ধৰ্ম্মই অমর হইবার একমাত্র কারণ। যদি তাহাই হইল তবে যথায় ধৰ্ম্মের আধিক্য সেই স্থলে স্বতরাং আয়ুরও দীর্ঘত্ব হুইবে । অতএব সত্যযুগ ধৰ্ম্মপ্রধান বলিয়া তৎকালের লোক দীর্ঘায়ুঃ ছিল । পুরাণে বর্ণিত আছে সহাযুগে মনুষের আয়ু লক্ষ বর্ষ, ব্রেতায় আৰুতৰন্থ