রত্নাবলী । 哈急 কেতুর সহিত ক্ররগ্রহ সম্পূর্ণ চন্দ্রমণ্ডলকে এক্ষণে বলপূর্বক অভিভৰ করিতে ইচ্ছা করিতেছে (এই ভাগ মাত্র বলা হইলে) । নেপথ্যে। আঃ, আমি থাকিতে কে চন্দ্রগুপ্তকে বলপূৰ্ব্বক অভিভব করিতে ইচ্ছা করে ? স্বত্রধার। ইহঁাকে বুদ্ধযোগ রক্ষা করুক। এই প্রস্তাবনাটা অতি গুঢ় কৌশলে পরিপূর্ণ। নট এবং স্বত্রধারের উক্তি প্রত্যুক্তিতে যে একটী আৰ্য্য ছন্দের কবিতা প্রস্তুত হইয়াছে, তাহাতেই সমুদ্রায় গ্রন্থের আভাস প্রদত্ত এবং নেপথ্য হইতে পুনরুক্তবৎ প্রতীয়মান যে চাণক্যের উক্তি তাহাতে নাটকীয় একটা প্রধান পাত্রের, রঙ্গস্থলে প্রবেশ সাধিত এবং সেই নাটকীয় পাত্রের প্রোজ্জ্বল প্রতিকৃতি অভিনয় দ্রষ্ট বর্গের নয়নপথে সমানীত করা হইয়াছে। কিন্তু মুদ্রারাক্ষস রত্নাবলীর পরবর্তী ; এবং ঐ দুই নাটকের আভ্যন্তরীণ অনেক লক্ষণ দর্শনে বোধ হয় যে, মুদ্রারাক্ষসপ্রণেতা বিশাখদত্ত শ্ৰীহৰ্ষদেৰ কর্তৃক প্রদর্শিতপথ হইয়াই নিজ নাটকের প্রস্তাবনার এরূপ উৎকর্ষসাধনে সমর্থ হইয়াছিলেন। বেণীসংহারের প্রস্তাবনা মুদ্রারক্ষসের প্রস্তাবনার অনুকৃতি ; সুতরাং রত্নাবলীর অনুকৃতির অনুকৃতি। উৎকৃষ্ট বোধেই লোকে অনুকরণ করিয়া থাকে। রত্নাবলীর প্রস্তাবনার উৎকৃষ্টত প্রদর্শনার্থ পূৰ্ব্বোক্ত এই সকল কথা বলা হইল, তাহ ছাড়া আমাদিগের জার একটা উদ্দেশ্য আছে। রত্নাবলীর নান্দীও যে অতি উৎকৃষ্ট এবং উপাদেয় তাহ পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে, কিন্তু উহার নান্দীর অনুকরণ শ্ৰীহৰ্ষদেবের পরবর্তী নাটকলেখকদিগের নাটকে দৃষ্ট হয় না কি জন্য ?— আমাদিগের মনে এই প্রশ্ন উঠিয়াছে, এবং আমরা ইহার মনঃপূত উত্তর প্রদান করিতে পারি নাই। তবে এইরূপ ভাবিয়াছি যে, শ্ৰীহৰ্ষদেবের পরবর্তী নাটকলেখকগণ তাদৃশ প্রতিভাশালী ছিলেন না। র্তাহারা কল্পনাশক্তির অনুসরণ করা দুরে থাকুক, নুতন কিছুর অনুকরণ করিতেও সম্যক সাহসী হইতেন না। র্তাহারা অলঙ্কারশাস্ত্রনির্দিষ্ট নান্দীর লক্ষণের অনুসরণ
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/৮৭
অবয়ব