পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ኞኃbዎ” বিবিধ বিধান । শ্রেণী পাঠন -"পূর্বে সংস্কৃত শিক্ষার এখায় বিশেষ কোন শ্ৰেণী ভাগের ব্যবস্থা ছিল না । এখনও টোলে কোন শ্রেণী নাই। যে, যে পরিমাণ পারে, সে সেই পরিমাণ অভ্যাস করে । যতগুলি শিক্ষার্থী ততগুলি শ্রেণী । এই প্ৰথাতে বালকগণ নিজ নিজ শক্তি অনুসারে অল্প কি অধিক সময়ে পাঠ সমাপন করিয়া থাকে । প্রমোশন পাইল না বলিয়া কাহাকেও তাড়াইয়া দিতে হয় না । সকলেই শিক্ষা লাভ করে, তৰে কেহ অল্প সময়ে, কেহ অধিক সময়ে । বর্তমান (ইউরোপীয়) প্ৰণালী অনুসারে এক সঙ্গে অনেক ছাত্ৰকে শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে ইহাতে সুবিধা অসুবিধা দুইই আছে। সুবিধার মধ্যে এই যে, এই প্রথায় অল্প সময়ে অনেক ছাত্রকে পড়ান যায়, আর ছাত্রেরাও প্ৰতিযোগিতায় উন্নতি করিতে বিশেষ যত্ন করে। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এতদূর শিক্ষা করিতে হইবে, ইহা মনে থাকে বলিয়া, সময়ের সদ্ব্যবহার করিতে শিক্ষা করে। আর অসুবিধা এই যে তীক্ষু বুদ্ধি সম্পন্ন ও স্থূল বুদ্ধি সম্পন্ন বালকগণকে একসঙ্গে শিখাইতে গিয়া উভয়েরই কিছু অনিষ্ট করা হয় । তীক্ষ্মবুদ্ধি সম্পন্ন বালক শীঘ্র শীঘ্ৰ উন্নতি করিতে পারেনা, কারণ তাহাকে সকলের সঙ্গে চলিতে হয়। আর স্থল বুদ্ধিবালকও তীক্ষ বুদ্ধি সম্পন্ন বালককে অনুসরণ করিতে পারেন ; হয়ত তাহাকে শেষে স্কুল পরিত্যাগ করিতে হয় । এক মাঝারী ছেলেদের কোন অসুবিধা হয় না । আমাদিগের সাবেক প্ৰথাতেও দোষ আছে, বৰ্ত্তমান প্ৰথাতেও দোষ আছে । তবে বৰ্ত্তমান ঐখাকে উন্নত করিবার জন্য পণ্ডিতগণ চেষ্টা করিতেছেন । , এক সঙ্গে অনেক ছাত্র পড়াইতে হইলে বিদ্যা ছাড়া আরও গুণ চাই । ছাত্রগণকে শাসনে রাখিতে হইবে । কিন্তু বাহাতে তাহারা স্বতঃ প্ৰবৃত্ত শহুইয়া কাৰ্য্য করে, তাহাই করিতে হইবে । শাসনের ভয়েও কাৰ্য্য করে বটে। কিন্তু শাসন একটু টিল পড়িলেই, বালক আঁবার নিজমুর্কি