পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

by ििक्ष क्षिता । bg sud rrur প্ৰভৃতি মানসিক বৃত্তিগুলিরও বিশেষরূপ অনুশীলন আবশ্যক । স্মৃতি । শক্তির বৃদ্ধি করা কীৰ্ত্তবা, কারণ শিক্ষককে অনেক বিষয় মনে প্লাথিয়া ছাত্ৰগণকে শিক্ষা দিতে হইবে । কেবল অবিরাম আলোচনার উপরই এই সকল বৃত্তির উন্মেষ নির্ভর করে । ২ । নৈতিক গুণ-শিক্ষকের চরিত্র পবিত্র হওয়া আবশ্যক । শিক্ষকের কার্যাদি সাধারণে যতদূৰ পৰ্য্যালোচনা করিয়া থাকে বোপ হয়। অন্য কাহারও কাৰ্য্য ততদূর করে না । সুতরাং শিক্ষকের চরিত্র এমন নিৰ্ম্মল হওয়া আবশ্যক যে, কেহ যেন কোনরূপ সন্দেহ ও না করিতে পারে । সত্যনিষ্টা একটা প্ৰদান গুণ । শিষ্য যদি বুঝিতে পারে যে শিক্ষকের কথার প্রকৃতিত্ব খুবই কম, তবে যে সেই শিক্ষকের প্রতি তাহার কেবল শ্রদ্ধা কমি যা যাইবে তাহাই নহে, সেও অধিকতর মিথ্যা কথা বলিতে অভ্যাস করিবে । যে ধৰ্ম্মে হউক শিক্ষকের আস্থাবান হওয়া উচিত । ছাত্র, এ বিষয় প্ৰথমে শুরুর অনুকরণেই শিক্ষা করিবে ? হ্যায়পরায়ণতার দিকে যেন শিক্ষকের বিশেষ দৃষ্টি থাকে । তঁহার দ্বারা যেন কখনও কাহার অনিষ্ট সাধিত না হয় । সাধুত্বের প্রতি শ্রদ্ধা ও অসাধু ত্বের প্রতি সুণ হ্যায়পরায়ণতার লক্ষণ । শিক্ষককে সমদৰ্শী হইতে হইবে । সমস্ত শিষ্যবৃন্দকে তিনি সমান চক্ষে দেখিবেন । ধনী নিধন বিচার করিয়া তিনি স্নেহ মমতা বিতরণ করিবেন না । রাজপুত্র ও ভিক্ষুক সস্তান তঁহার নিকট সমান আদরের পাত্ৰ । তাহাকে সহিষ্ণু ও ক্ষমাশীল হইতে হইবে । * চঞ্চলমতি বালকেরা কত উৎপাত করিবে, কত অপরাপ করিবে কিন্তু তিনি শান্তভাবে সমস্ত সহা করিয়া ও উদারাচিন্তে সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করিয়া, তাহাদিগকে উন্নতির পথে পরিাচালিত করিতে যত্ন করবেন। আত্মশাপািন একটা মহাগুণ। ক্ৰোধাদিকে শাসনে রাখিতে হইবে । শিক্ষককে শ্রমশীল হইতে হইবে । শ্রমশীল শিক্ষকের ছাত্রেরাই পরিশ্রমী হইয়া থাকে, আর অলস শিক্ষ