১.৪ বিবিধ সমালোচন। পূৰ্ব্বে প্রণীত হইয়াছিল, ইহাও অনুভবে বুঝা যায়। মহাভাৱত পড়িয়া বোধ হয়, ভারতবর্ষীয়দিগের দ্বিতীয়াবস্থা,অথবা তৃতীয়াবস্থা ইহাতে পরিচিত হইয়াছে। . তখন দ্বাপর, সত্য যুগ আর নাই। যখন স্বরস্বতী ও দৃষদ্বতী তীরে, নবাগত আৰ্য্য বংশ সরল গ্রাম্যধৰ্ম্ম রক্ষা করিয়া, দসু্যভয়ে আকাশ, ভাস্কর মরুতাদি ভৌতিক শক্তিকে আত্মরক্ষার্থ আহবান করিয়া, অপেয় সোমরস পানকে জীবনের সার স্বথ জ্ঞান করিয়া আর্য জীবন .নিৰ্ব্বহ করিতেন,সে সত্য যুগ আর নাই । দ্বিতীয়াবস্থাও নাই । যখন,আর্য্যগণ সংখ্যায় পরিবদ্ধি ত হইয়া,বহু যুদ্ধে যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষ। করিয়া,দস্ল্যজয়ে প্রবৃত্ত, সে ত্রেত। আর নই। যপন আৰ্য্যগণ, ৰাহুবলে বহুদেশ অধিকৃত করিয়া, শিল্পাদির উন্নতি করিয়া, প্রথম সভ্যতার সোপানে উঠিয়া, কাণী, অযোধ্য, মিথিলাদি নগর সংস্থাপিত করিতেছেন, সে ত্রেতা আর নাই। ষপন, কাৰ্য্যহৃদয়ক্ষেত্রে নুতন জ্ঞানের অঙ্কুর দেখা দিতেছে, সে ত্রেত। আর নাই । এক্ষণে দস্ত্যজাতি বিজিত, পদানত, দেশপ্রস্তু বাসী শূদ্র, ভারতবর্ষ আৰ্য্যগণের করস্থ, আয়ত্ত, ভোগ্য, এবং মহাসমৃদ্ধিশালী। তখন আর্য্যগণ রাহ শত্রুর ভর হইতে নিশ্চিন্ত, আভ্যন্তধিক সমৃদ্ধি সম্পাদনে সচেষ্ট,- হস্তগতা অনস্তরত্নপ্রসবিনী ভারতভূম অংশীকরণে ব্যস্ত। যাহা সকলে জয় করিয়াছে তাহা কে ভোগ করিবে? এই প্রশ্নের ফল আভ্যন্তরিক বিপদ । তখন আর্ধ্য প্লুেরুষ চরমে দাড়াইয়াছে। যে হলাহল বৃক্ষের ফলে, ছুই সহস্ৰ বৎসর পরে चक्लेख এবং পৃথ্বীরাঙ্গ পরস্পর বিবাদ করিয়া উভয়ে সাহাবুদিনের করতলস্থ হইলেন, এষ্ট দ্বাপরে তাহার বীজ বপন হইয়াছে। এই দ্বাপরের কার্য্য মহাভারত (১) . . . . . • - • ' ' . , (১) পাঠক বুবিতে পরিবেশ্লেষে কতিপয় পতাদকে এখানে "শ" বলা যাইতেছে। “ ।
