পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোজারবাবুর টাকাই জোগাড় হয় না, আবার যশোর জেলার কোর্টের উকিলবাবুদের টাকা গরিব গ্রামের লোকের চাদায় কি জোগাড হয়ে উঠবে ? ইচুকে বাচানো মুশকিল হয়ে উঠল। এতক্ষণ পরে ইচু কথা বললে। এতক্ষণ সে একটি কথাও বলে নি, এইবার সে হাত জোড কবে বললে—বাবু, মোর একটি কথা বলবার আছে । ওর মুখের দিকে সবাই চাইলে। - মোক্তারবাবুও চাইলেন। এইবার বোধহয় সব প্ৰকাশ কবতে চাইছে লোকটা । এই বকম ভাবেই বলে, তিনি জানেন । হাফেজ ও বাছিরাদি মুখ চাওয়াচাওয়ি করলে। কি জানি ওর পেটে কি আছে। মানুষকে সব সময়ে বাইরে থেকে চেনা যায় না । বামলাল মোক্তার জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে ওর দিকে চাইলেন। ভাবটা এই রকম —বলে ফেল বাপু যা আছে পেটে । অমন অনেক ঘুঘুই আমরা দেখলাম, তুমি এখন বাকি আছ । ইচু রামলালবাবুর পা-দুটাে জডিযে ধরে বললে-বাবু, মোর একটা দরবাব আছে। যাতে হয় আপনি তা দেখবেন-মুই গরিব লোক, জন খেটে খাই, আপনাব পয়সা হয়তো মুই দিতে পারব না, গরিব বলে দয়া করে একটা আবদার রাখবেন মোর-আল্লা, দীনদুনিয়ার মালিক, আপনার ভাল করবে। --अशों-श, *ों हैcनों न-केि-कि बल— বাবু, যেখানে মোবে রাখে, ঝা কবে ক্ষতি নেই। কিন্তু বাবু, আপনি এইটে তাদের বলে দেবেন, ব্যবস্থা কবে কোন পাচ- ওক্ত নমাজ আমি সেখানে পড়তি পারি।--আর কিছু আমার বলাব নেই বাবু। রামলালবাবুর সেরেস্তায় বজপাত হলেও লোকে অতটা চকিত হত না ( সেকালের নভেলের বর্ণনা অনুযায়ী ) । হাফেজ ও বাছিরিদি, আবার পরস্পর মুখ চাওয়াচাওয়ি করলে। ঘুঘু মোক্তার রামলাল চাটুজ্যে হঁা করে ওর মুখের দিকে চেয়ে রইলেন । এ রকম কথা এ সময় তিনি সামান্য একজন গ্ৰাম্য লোকের মুখ থেকে আশা করেন নি, যে খুনের দায়ে আজ পথেই হয়তো পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হবে, আজ বাদে কাল যাকে দায়রায় চালান দেওয়া হবে-শত অসুবিধা, অর্থনাশ, নিৰ্যাতন যার সামনে, আর আইনের খাড়া যার মাথার ওপর ঝুলছে--নিষ্ঠুর নিয়তির হৃদয়হীন রক্তাক্ত ইঙ্গিতের মত। রামলালবাবুই সেদিন বার লাইব্রেরীতে গিয়ে গল্প করেছিলেন--সত্যি