পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* গঙ্গাচরণের কণ্ঠস্বব ভক্তিতে গদগদ হয়ে উঠলো । গঙ্গাচরণেব পাঠশালা বেশ জমে উঠেছে। আজ সকালে সাত-আটটি নতুন ছাত্ৰ দডি-বাধা মাটির দোষাত হাতে ঝুলিয়ে এসে উপস্থিত । গঙ্গাচৰণ তাদেব নিযে বেলা দুপুব পৰ্যন্ত ব্যস্ত রইল। ছাত্রদের মধ্যে সকলেই স্থূলবুদ্ধি, এদেব বাপ-ঠাকুরদাদা কখনও নিজের নাম লিখতে শেখেনি, জমি চষে কলা বেগুন ক’রে জীবিক নিৰ্বাহ ক’রে এসেচে, লেখাপডা শো খাটা এদের ব’ শে একেবাবে অভিনব পদার্থ। গঙ্গাচরণ বলে, সকাল থেকে চেষ্টা ক’বে ক’যেব আঁকুডি দিতে শিখলি নে ? তা শিখবি কোথা থেকে ? এখন ও-সব আঙুল সোজা হতে ছ'মাস কেটে যাবে। লাঙলেব মুঠি ধােব ধবে আড়ষ্ট হযে আছে যে। এই ভূতো, যা একটু তামাক সেজে নিয়ে অন্য দিকি ? কুন্নাঘরে তোর কাকীমার কাছ থেকে আগুন নিযে অন্য দু’টি ছাত্র ছুটলো তখুনি আগুন আনতে । গঙ্গাচরণ হেঁকে বল7ল- এই । যাবার দরকার কি তোমাব ? 'ভুতো একই পারবে । অন্য একটি ছেলেব দিবে চেয়ে বললে-তোব বাবা বাজী আছে ? ছেলেটি বললে-হ্যা স্যাব-কাল যেন আমােয এসে কামিযে দিযে যায় বলে দিস-স্যাব, বাবা কাল ভিনগাযে কামাতে গিায়চে । -এলে বলে দিস। এখানে যেন আসে । অনঙ্গ বেী ডেকে পাঠালো বাজীব মধ্যে থেকে। গঙ্গাচরণ গিযে বললে-ডাকছিলে বেন ? অনঙ্গ বললে— শুধু ছেলেদের নিয়ে বসে থাকলে চলবে ? কাঠ ফুরিয়েচে, ऊाद्र दावा छाi८२ा গঙ্গাচরণ আশ্চৰ্য হবাব সুরে বললে-সে কি ? এই যে সেদিন কাঠ কাটিয়ে দিলাম। এক-গাডী । সব পুডিযে ফেললে এর মধ্যে ? অনঙ্গ রাগ ক’বে বললে-কাঠ কি খাবার জিনিস যে খেয়ে ফেলেচি ? রোজ এক হাড়ি ধান সেদ্ধ হবে, চিডে কোটা হলো দশ বারো কাঠা-এতে কাঠ খরচ হয় না ? A R