পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক চুমুক দিয়ে চোখ বুজে বললে-"বাঃ, বেশ, বেশ-মা-লক্ষ্মী-এই আমার অমর্তো । দিব্যি হয়েচে এই সময় গঙ্গাচরণ বাড়ী ফিরে স্ত্রীকে বললে-চলে ওদিকে, একটা কথা 6े८न्म । অনঙ্গ-বেী আড়ালে এসে নিচু সুরে বললে-কি ? -চাল আনলাম এক কাঠা বিশ্বেস মশায়ের বাডী থেকে চেয়ে-চিন্তে । আর ধারে তিন কাঠা ধানের ব্যবস্থা করে এলাম। দীনু ভটুচাজকে কাল সকালে এনে দেবো। আজ আর বুড়ো নড়াচে না দেখছি। ওখাচ্চে কি ? চা নাকি ? কোথায় পেলে ? বুড়ো আছে দেখচি ভালোই। আর কি নড়ে এখান থেকে ? —তোমার এত সন্ধানে দরকার কি ? তুমি একটু চা খাবে ? দিচ্চি। আর ওঁকে আমন বোলো না। বলতে নেই, বুড়ো বামুন অতিথি-ছিঃ- গঙ্গাচরণ মুখ বিকৃত করে অতিথির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলে। মুখে বললে -ওঃ, ভারি। আমার অতিথি বে। ধমক দিয়ে অনঙ্গ-বেী বললে-ফের ? আবাব ? বিশ্বাস মশায়ের বাড়ী একদিন গঙ্গাচরণ গিয়ে দেখলে গ্রামের অনেকগুলি লোক জুটেচে। ঘন ঘন তামাক চলচে । হীরু কপালী বলচে-আমাদের কিছু ধান দ্যান বিশ্বেস মশাই, নয়তো अभद्म भों (२gश शब्लभ । সঙ্গে সঙ্গে আরও পাঁচ-ছ’জন লোক ওই এক কথাই বললে । ধান দিতে হবে, না দিলে তাদের পরিবারে অনাহার শুরু হবে। বিশ্বেস মশায় বললেন-নিয়ে যাও গোলা থেকে। যা আছে, দু’পাছ আড়ি করে এক একজনের হবে এখন। যতক্ষণ আমার আছে ততক্ষণ তোমাদের দিয়ে তো যাই, তারপর যা হয় । গঙ্গাচরণও ধানের জন্যে দরবার করতে গিয়েছিল । তাকে বিশ্বেস মশায় বললেন-আপনি ব্ৰাহ্মণ মানুষ। আপনাকে কার্জ হিসাবে ধান আর কি দেবো । পাঁচ আড়ি ধান নিয়ে যান। কিন্তু এই শেষ, আর আমার গোলায় ধান নেই। গঙ্গাচরণ বিস্মিত হলো বিশ্বাস মশায়ের কথায় । যার গোলা ভর্তি ধান, মাত্র এই কয় জন লোককে সামান্য কিছু ধান দিলে তার গোলা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যাবে, এ কেমন কথা হলো ? 镜合