পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जटैर्थ छण 33 এত কথা বললাম—এই জন্যে যে, জোয়ারদার মশায় প্রৌঢ় ব্যক্তি, পান্নার বাবা কিংবা জ্যাঠামশায়ের বয়সী। এ বয়সে ওর অমন লালসার উগ্রতা দেখে লোকটার ওপর অমুকম্প৷ জেগেচে আমার মনে । আমার দলের লোক, আমি ত সব ছেড়েচি ওই জন্তে । নেশা এমন জিনিস। তেমনি নেশা তো ওরও লাগতে পারে । জোয়ারদার মশায় নাছোড়বান্দা। ওর ইচ্ছা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বেড়ে গিয়েছে। যেই শুনেচে পান্নাকে পাবে না, অমনি পান্নাকে না পেলে আর চলচে না। ওকেই চাই, রাণী চন্দ্রমণিকে না। আমি ওঁর সব কথা শুনে বললাম—ওর আশা ছাডুন। —কেন ? ও কি ? অডিনারি একটা খেমটাওয়ালী তো ? —তাই বটে, তবে ও অন্যরকম । —কি রকম ? —আপনাকে খুলে বলি। আমি মশাই নিতান্ত রাধুনি বামুন নই। আমি ডাক্তার। ওর জন্যে সব ছেড়ে এসেছি । ওর দলে থাকি নে, ওর সঙ্গে এসেছি— নায়েব অবাক হয়ে আমার মুখের দিকে চেয়ে রইলেন। বললেন—তাই আপনার মুখে অনেকক্ষণ থেকে আমি কি একটা দেখে সন্দেহ করেছিলাম। যাক মশাই, আপনি কিছু মনে করবেন না। বয়েস কত মশায়ের ? —চল্লিশ । —এত ? —তাই হবে । —আপনি এত বয়সে কি করে ওর সঙ্গে—গুর বয়েস তো আঠারোর বেশি হবে না। হেসে বললাম, কি করে বলবো বলুন । ওর কথা কি কিছু বলা যায় ? —কি ডাক্তার আপনি ? পাশ করা ? —এম. বি. পাশ । —সত্যি বলচেন ? নায়েবমশায় ভড়াক করে চৌকি ছেড়ে লাফিয়ে উঠে আমার দু’হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে বললেন—মাপ করবেন ডাক্তারবাৰু। আমি চিনতে পারি নি। আমি আপনার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। একটা কথা বলি, বস্কন এখানে । চা খাবেন ? ওরে— —না না, চায়ের দরকার নেই। বলুন কি বলবেন ? —হাত ধরে অনুরোধ করচি–উচ্ছন্ন যাবেন না । ছেড়ে দিন ওকে। ওর আছে কি ? একটা বেখা—নাচওয়ালী— আমি বাধা দিয়ে বললাম—আমন কথা শুনতে আসি নি, ওকে সমালোচনা করবার দরকার কি আপনার ? কি বলছিলেন—তাই বলুম ? —জানি, জানি। ও নেশা আমিও জানি মশাই. এ বুড়ে বয়েসেও এখনো নেশা ছাড়ে