Oely বিভূতি-রচনাবলী
একট। চটকা গাছের তলায় । একটা বিলিতি শিরীষ গাছে মাকাল ফল পেকে ঝুলছে । পাটবোঝাই একখানা গরুর গাড়ী আমার আগে আগে চলেছে র্ক্যাচ ক্যাচ করতে করতে ।
আমার মন খাচা-খোলা পাখীর মত হয়ে গিয়েছে । কোথায় যেন চলেছি কত দূরে!
রক্ত-কুঁচের কাটালতায় হলুদ ফুল ফুটেছে, তার কেমন গন্ধ ! লতা বেয়ে কাঠবেড়ালি উঠেছে ঝোপের মাথায় । দাড়িয়ে দেখে দেখে যেমন একটা ঢ়িল মেরেছি, অমনি পালিয়ে গেল । 鱲
পাটবোঝাই গাড়ীটা এবার ধরে ফেলেছি! একটা বুড়ো মুসলমান গাড়ী চালাচ্ছে, একটি ছোট ছেলে পাটের বস্তর ওপর বঁাশ ধরে বসে আছে। বুড়োকে দেখতে আমাদের গায়ে ময়জদি কাকার মত ।
আমি বললাম—কোথাকার গাড়ী ?
বুড়ো গাড়োয়ান বললে—সমেকপুরির ।
—কোথায় যাবে ?
—বনগায়ে কুণ্ডুদের আড়তে।
—আমায় নেবে ?
—উঠতি যদি পার ওপরে, তবে চল ।
—গাড়ী থামাও !
—খামাতি পারব না, পেছন দিয়ে ওঠ ।
—ই পড়ে মার আর কি! যাও তুমি চলে।
—ওঠ না খোকা, ভয় কি !
—ন, তুমি যাও—তোমার আগে বনগী পৌছে যাব।
খানিকক্ষণ জোর পায়ে হাটবার পরে কোথায় পড়ে খুইল গরুর গাড়ীটা ! বীর বার খুশির সঙ্গে পেছন ফিরে চেয়ে দেখতে লাগলাম । একজন বাগদী মস্ত বড় একটা মাছ নিয়ে চলেছে বনগীর দিকে । তাকেও গিয়ে জোর পায়ে ধরে ফেললাম । সে আমার দিকে ফিরে চাইলে । ছু একবার চাইবার পর বললে—বাব, কোথায় যাবা ?
—বনগা |
—কেন ? |
—গর পন্টে গিয়েছে, আনতে যাব।
—আপনাদের বাড়ী কনে ?
—গোপালনগর।
—ওখানে তো পণ্ট আছে।
—সে পণ্টে নেই, আজ দুদিন হারিয়েছে। মা বললে, বনগার পণ্ট খুজে আসতে।
—আজকাল দুষ্টুমি করে দুরির পণ্টে দেয়। তা চল মোর সঙ্গে ।
খানিকদূর গিয়ে পথের ধারে একটা বনজঙ্গলের মধ্যে তালগাছ থেকে ধুপ করে একটা
ബ്
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৩২৮
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
