পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বিভূতি রচনাবলী

কিছুকাল জমিদারী সেরেস্তায় কাজ করিয়াছিলেন।

লিচুতলা ক্লাব॥ বনগ্রামের প্রবীন আইনজীবী ও সুকবি শ্রীযুক্ত মন্মথনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বহির্বাটীতে ‘লিচুতলা ক্লাব’ প্রতিষ্ঠিত ছিল। বাহিরের উঠানে আজও একটি লিচু গাছ আছে —গ্রীষ্মেযর দিনে গল্পগুজবের জন্য অনেক সময় সদস্যরা লিচুতলার বাহিরেও বসিতেন। সেই হইতেই ‘লিচুতলা ক্লাব’ নামের উৎপত্তি। সম্ভবত বিভূতিভূষণই আড্ডার ‘লিচুতলা ক্লাব’ নামকরণ করিয়াছিলেন।

মনোজবাবু॥ মনোজ কুমার রায়। তদানীন্তন বনগ্রামের সাপ্তাহিক পত্র ‘পল্লীবার্ত্তা’ পত্রিকার সম্পাদক।

জয়কৃষ্ণ ও গোপালদা॥ বিভূতিভূষণের বন্ধু। ‘লিচুতলা ক্লাব’-এর সদস্য।

যতীনদা॥ বনগ্রামের হোমিওপ্যাথ ডাক্তার এবং বিভূতি সুহৃদ ডাঃ যতীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।

শচীনবাবু॥ বনগ্রামে বিভূতিভূষণের শ্বশুরবাড়ীর প্রতিবেশী ভদ্রলোক।

পুষ্প ও সুনীতি॥ বনগ্রামে বিভূতিভূষণের শ্বশুরবাড়ীর প্রতিবেশিনী ভদ্রমহিলা।


সপ্তম পত্র

কানপুর॥ বিভূতিভূষণ ১৯৪৪ খ্রীষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের কানপুর অধিবেশনে সাহিত্য শাখার সভাপতি ছিলেন। সে সময়ে দিল্লী যাইবার ইচ্ছা তাঁহার ছিল। পত্রে সে কথাই তিনি লিখিয়াছেন। এ বিষয়ে তাঁহার শাশুড়ি সাধনাদেবীকে লিখিতপত্র দ্রষ্টব্য। { বিভূতি-রচনাবলী, দশম খণ্ড,‘পুস্তক পরিচয়’, পৃ. ৩৮৭)।

তোমার বাবা॥ বিশিষ্ট প্রবাসী বাঙালী-সাহিত্যিক অপূর্ব্ব মণি দত্ত।

তোমায় কাকীমা॥ পত্নী শ্রীযুক্তা রমা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সজনীদাস॥ 'শনিবারের চিঠি'র সম্পাদক সজনীকান্ত দাস।

রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর॥ বিশ্বকবির পুত্র রথীন্দ্রনাথ। বিভূতিভূষণ ১৯৪৪ খ্রীষ্টাব্দের অক্টোবর মাসের শেষ ভাগে সজনীকান্ত দাসের সঙ্গে শান্তি নিকেতন গমন করেন। সে সময়ে শান্তিনিকেতনে থাকিয়া অধ্যাপনার জন্য কোনো কোনো মহল হইতে প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। যে কোনো কারণেই হোক বিভূতিভূষণ সে প্রস্তাবে রাজী হন নাই। বিভূতিভূষণ শান্তিনিকেতনে আলাপআলোচনায় এবং বিভিন্ন বৈঠকে যোগ দিয়াছিলেন।

নীরদ॥ 'বাঙালী জীবনে রমনী'র বিখ্যাত লেখক শ্রীযুক্ত নীরদচন্দ্র চৌধুরী। পত্রেই বিভূতিভূষণের সহিত নীরদচন্দ্রের সম্পর্কের কথায় উল্লেখ আছে।

বনফুল॥ সাহিত্যিক ডাঃ শ্রীযুক্ত বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়।


অষ্টম পর্ব

গজেনবাবু॥ সাহিত্যিক শ্রীযুক্ত গজেনকুমার মিত্র।

ভাগ্নে॥ শ্রীযুক্ত প্রশান্তকুমার চট্টোপাধ্যায়। সে সময়ে 'টাইফয়েড' যোগে শয্যাশায়ী।