পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रुति ধশোর জেলার ভূমি-প্ৰকৃতির সঙ্গে যাদের পরিচয় আছে তারাই জানেন সেখানের ফসল-ফল কম্পদ সবজী, যেমন সরস ও পুষ্ট-আগাছার জঙ্গলও তেমনি নিবিড় ও সজীব । আসলে সেখানের মাটিই অত্যন্ত সরস, অসংখ্য নদী সেখানের মাটিকে অফুরন্তু প্ৰাণশক্তি যোগায় । তার সৃষ্টিশক্তিতে ক্লাস্তি বা রিক্ততা আসার কোন সম্ভাবনাই থাকতে দেয় না । ইছামতীও তেমনি একটি নদী, নদীয়া যশোবের মধ্যে দিয়ে বয়ে সমুদ্রের দিকে চলে গেছে, BBK KEBS BiBK KBBS DBEDYSS SBBDB BBuBB EBD CD DBDDBB BDBBD YBS BD নির্মল স্বচ্ছ জলে কখনও দু’পাল্পের ঘন বনানীর শ্যামশোভা প্ৰতিবিম্বিত হয়ে তাকে শ্যামলী ক’রে তোলে, কখনও বা কালবৈশাখীর ঘন-কৃষ্ণ মেঘের ছায়া বুকে ক’রে সে কৃষ্ণা, আবার শুক্লপক্ষের রাতে যখন উজ্জল জ্যোৎস্নালোক এসে পড়ে তখন সে রজতৰূপা, রূপসী । বিভূতিভুবণের সর্বশেষ উপন্যাস হিছামতীতে এই ইছামতী নদীই নায়িকা। সহিষ্ণু সৰ্বংসহা পল্পীজননীর মতোই যে তার সস্থানদেব সুখ দুঃখ, আঘাত সংঘাত, উৎসব সমারোহের অসংখ্য ইতিহঃখ পুর্কে ক’রে নীরবে তার সাধামতো প্ৰাণধারা যুগিয়ে যাচ্ছে, নিঃশব্দে বয়ে যাচ্ছেশতাব্দীর পর শতাব্দী। অনেক দেখেছে সে, অনেক ইতিহাসের সাক্ষী, অনেক অত্যাচার বর্ষরতারও-কিন্তু তার জন্য তার কোন জালা নেই, অস্তৃপ্তি ক্ষোভ অসুর জিঘাংসা কি জুগুঞ্চল নেই, সে কল্যাণময়ী নিয়ত যেন তার সন্তানদের মঙ্গলচিন্তাই ক’রে যাচ্ছে—যতদূর সম্ভব মাধুখে ভরিযে দিচ্ছে তাদের নিঃস্ব বিন্স বুকগুলি, জীবনযুদ্ধের ক্ষতে দিচ্ছে অমৃতের প্রলেপ বুলিয়ে । তার নীরবতার মধ্যেই মানুধ খুঁজে পাচ্ছে বিগত দিনের দুঃখে সাৱনা, পাচ্ছে। আগামী দিনের জন্য আশ্বাসের 'পাথেয় । বিভূতিভূষণ। এই ইছামতী-তীরেই একটি অখ্যাত ন ন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তঁগদোয় পারিবারিক জীবনও ছিল এই গ্রামের অধিকাংশ দরিদ্র অধিবাসীদের মতোই-বহিরঙ্গ প্ৰাচুর্যের অভাব ছিল বলেই তাকে অন্তর ভরাতে হয়েছে প্ৰকৃতির অনন্তু ঐশ্বর্ধে। হয়ত বাল্যকালে সেটা তত বুঝতে পারেন নি। ভাল লেগেছে তখনই, কিন্তু কত ভাল লেগেছে সেটা বুঝেছেন। কৈশোরে গ্রাম ছাড়ার পর-ৰখন শিক্ষা ও পরবর্তীকালে উদয়াজের জন্য গ্রামের বাইরেই কাটাতে হয়েছে বেশির ভাগ সময় । ফলে একটা প্ৰবল “শািন্টালজিয়া’ অনুভব করেছেন, যখনই দুদণ্ডের অবসর পেয়েছেন দেশে যাবার- এমন কি লেখক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবার পর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে দেশ দেখাতে যাওয়ার অছিলায় সত্যিই দু-এক ঘণ্টায় জন্তু গিয়েও-প্রাণভরে সেই পল্পীপ্ৰকৃতির সৌন্দৰ্য পান করেছেন-কুঠীর মাঠে, বঁওড়ের ধারে --অর্থাৎ ইছামতীৱই কুলে। আর সেই সময়ই বার বার সঙ্কল্প করেছেন এই মাতৃঋণ শোধোঁয়া-ইছামতীকে কেন্দ্ৰ ক’রে উপন্যাস রচনার ৷ ভাগলপুর এলাকায় অরণা এবং প্ৰাক্তন যশোর জেলার-অধুনা পূর্ব-উত্তর চব্বিশ পরগণার ইছামতী তীরের আগাছার ঝোপাই আঁটাকে প্রধানত প্ৰকৃতি-প্রেমিক-কায়ও কারও মতে প্ৰকৃতিপাগল ক’রে তুলেছিল। তার -S.