পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযাত্রিক 8●속 ভালো ছেলে, আপনাদের মুখের ভাষাই অন্যরকম। বড় ভালো লাগে হেডমাস্টারবাবুর মুখের বাংলা আর ইংরিজি শুনতে। এ রকম এদেশে কখনও শোনেনি— এই স্থটি শিক্ষক দেখলুম আমার বন্ধুর সমস্ত কাজ করে দেয় । ওরাই চা করে আমাদের খেতে দিলে, আবার তামাক সেজে দিলে, একজন গিয়ে বাজার থেকে পান নিয়ে এল, কারণ পান ফুরিয়ে গিয়েছিল। ওরা অনেক রাত পর্যন্ত রইল। সন্ধ্যার পরে ওরা আমার বন্ধুকে বললে—মাস্টারবাবু, তাহলে আপনি বলুন, বাবুর সঙ্গে কথা বলুন, আমরা দুজনে খাবারটা তৈরী করে ফেলি। আমি বললুম, কেন, বোর্ডিং-এর ঠাকুর নেই ? —আছে, তা উনি ঠাকুরের হাতে খান না । নিজেই রাধেন, আমরা যোগাড়-যন্ত্র করে लिहे —বোর্ডিং-এর চাকরে সে সব কাজ করে না ? —চাকর নেই এ বোর্ডিংএ । ছেলেরা নিজেদের কাজ নিজেরা করে । আমি বন্ধুকে বললুম, চলে আমরাও রান্নাঘরে গিয়ে বসি। রান্নাঘরে আমরা এসে বসলুম বটে, কিন্তু সেখানে আমাদের জন্ত ময়দা মাখ, রুটি সেকা, তরকারি রাধা প্রভৃতি যাবতীয় কাজ করলে শিক্ষক দু’টি। আমার বন্ধু বেশ চুপ করেই বসে রইলেন—ওদের কাজে এতটুকু সাহায্য করলেন না। এমনভাবে ওদের সেবা নিলেন, যেন এ সে সেবা র্তার স্তায্য প্রাপ্য। ব্যাপার দেখে মনে হল রোজই এই ব্যাপার চলে—শিক্ষকদুটিই প্রতিরাত্রে হেডমাস্টারের রান্নাবান্না করে দিয়ে যায়। আমাদের পরিবেষণও করলে ওরা । ডুইং মাস্টারটি আমায় বললে, আপনি কিছু খাচ্চেন না কেন বাৰু? ভালো করে খান। কত যত্নে ওরা অামায় বসে খাওয়ালে। হেডমাস্টারের বন্ধু, সুতরাং আমিও ওদের খাভিরের ও খোশামোদের পাত্ৰ-অমন যত্ন আমার আপনার জনও বোধহয় কোনদিন করেনি। রাত্রে ওরা বাড়ি চলে গেল। যাবার সময় আমাদের জন্তে পান পর্যন্ত সেজে রেখে গেল । আমি কিছুদূর গেলুম ওদের এগিয়ে দিতে। ড্রইং মাস্টারটিকে দেখে মনে কেমন অনুকম্প জাগে। যেমন নিরীহ তেমনি দরিদ্র । কাপড়চোপড় বেশি নেই একটা আধময়লা পিরানের ওপর একটা উড়নি, একখানা আধমালা মোটা ধুতি, এই ওর পরিচ্ছদ । আমি মাঠের মধ্যে গিয়ে ওকে বললুম—আপনার বাড়ি কোথায় ? —এই কাছেই, শাটিরপাড়া গ্রাম । • —কতদিন স্কুলে আছেন ? —তা প্রায় সাত বছর আছি বাৰু। -किङ्ग भटन कब्रtवन नl-५षांप्न क्छ गांन ?