বিভূতি-রচনাবলী !# مراه بيا পথ দিয়ে যাবে। ওদের যেন চেনে না, এভাবে । জাহাজে না উঠে এদের তিনজনের সঙ্গে সে কথাবাৰ্ত্তা বলবে না । স্বশীল চিঠির উত্তর দিয়ে দিলে। জামাতুল্লা বললে—আমাদের জিনিসপত্র যদি কিনতে হয়, এই সময় কিনে নিয়ে আলি-চলুন। ওরা বেরিয়ে এল বাসা থেকে। ভিক্টোরিয়ো স্ট্রটের বড় বাজারে জিনিসপত্র কিনৰে এই ওদের ইচ্ছা। জামাতুল্লা বললে—বাবু, কিছু ভাল জিনিস খেয়ে নেওয়া যাক। জানেন, কোন অজানা রাস্তায় অনেক দূর যেতে হলে, ভাল খেয়ে নিভে হয়। অনেকদিন হয়ত ভাল খাবার অদৃষ্টে জুটবে না। একটা শিখ রেস্টরেন্টে ওরা গিয়ে বসল। মাংস, কাটলেট, চা, টোস্ট ইত্যাদি জানিয়ে খাওয়া শুরু করেছে, এমন সময় একজন ইউরোপীয়-পোশাক-পরা মালয় এসে ওদের টেবিলে বসে বিনীতভাবে বললে—সে কি ভাদের সঙ্গে বসে খেতে পারে ? স্বশীল বললে—হঁ্য, নিশ্চয়। সে আর কোন কথা না বলে খাবার আনিয়ে নিঃশব্দে কিছুক্ষণ বসে খেতে লাগল। তারপর আবার ওদের দিকে চেয়ে বললে—আপনারা ভারতীয় ? স্বশীল ভদ্রভাবে উত্তর দিল—হঁ্যা। —এখানে এসেছেন বেড়াতে, না ? –žji i —কেমন লাগছে সিঙ্গাপুর ? —বেশ জায়গা । —এখান থেকে দেশে ফিরছেন বোধহয় ? —তাই ইচ্ছে আছে। —আপনারা তিনজনে বুঝি এসেছেন ? —ন, আমরা এখানে এক হোটেলে থাকি—আলাপ হয়ে গিয়েছে। —বেশ, বেশ । —তারপর আবার বললে, আপনারা কোন হোটেলে উঠেছেন জানতে পারি কি ? আমাদের একজন ভারতীয় বন্ধুর একটা তলি হোটেল আছে, সেখানে খাবার-পত্ৰ সন্তা। ঘরঘোরও ভাল। যদি আপনাদের দরকার হয়— সনৎ হঠাৎ বলে উঠল—না, ধন্যবাদ । আমরা আজই চলে যাচ্ছি । স্বশীল টেবিলের তলা দিয়ে সনৎকে এক রামচিমটি কাটলে। মালয় লোকটার চোখেমুখে একটা কৌতুহলের ভাব জাগল। সেটা গোপন করে সে বললে-ও। আজই বাবেন ? কিন্তু ভারতের জাহাজ তো আজ ছাড়বে না ? স্বশীল বললে—না, আমরা রেলে উঠে যাচ্ছি কুয়ালালামপুর। —ও, কুয়ালালামপুর । দেখে জাম্বন, বেশ শহর ।
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/৩২১
অবয়ব