পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হীরামানিক জ্বলে ogy o o 事 কুশীলকে কে বললে—আমার সঙ্গে আয় । গভীর অন্ধকারের মধ্যে এক দীর্ঘাকৃতি পুরুষের পিছু পিছু ও গভীর বনের কতদূর চলল। ইয়ার হোসেনের মালয় ভৃত্যগণ ঘোর তন্দ্রাভিভূত, উষার আলোকের ক্ষীণ আভাসও দেখা যায় না পূৰ্ব্ব দিগন্তে ৷ বৃক্ষলতা স্তব্ধ, স্বপ্লঘোরে আচ্ছন্ন। সারি সারি প্রাসাদ একদিকে, অন্যদিকে প্রশস্ত দীর্ঘিকার টলটলে নিৰ্ম্মল জলরাশির বুকে পদ্ম ফুল ফুটে আছে। সেই গভীর বনে, গভীর অন্ধকারের মধ্যে দেউলে দেউলে ত্রিমূৰ্ত্তি মহাদেবের পূজা হচ্ছে। স্বগন্ধ দীপবৰ্ত্তিকার আলোকে মন্দিরাভাস্তর আলোকিত। প্রাসাদের বাতায়ন বলভিতে শুকসারী তন্দ্রামগ্র । , স্বশীল বললে—আমায় কোথা নিয়ে যাবেন ? —সে কথা বলব না । ভয় পাবি— —তবুও শুনি, বলুন— —বহুদিনের বহু ধ্বংস, অভিশাপ, মৃত্যুর দীর্ঘশ্বাসে এ পুরীর বাতাস বিষাক্ত। এখানে প্রবেশ করবার দুঃসাহসের প্রশংসা করি। কিন্তু এর মূল্য দিতে হবে। -कौ ? —একজনের প্রাণ। সমুদ্রমেখলা এ দ্বীপের বহু শতাব্দীর গুপ্ত কথা ঘন বন ঢেকে রেখেছিল। ভারত মহাসমূদ্র স্বয়ং এর প্রহরী, দেখতে পাও না ? —আজ্ঞে, তা দেখছি বটে। —তবে সে রহস্য ভেদ করতে এসেছ কেন ? —আপনি তো জানেন সব । —সম্রাটের ঐশ্বর্ঘ্য গুপ্ত আছে এর মধ্যে । কিন্তু সে পাবে না। যে অদৃপ্ত আত্মারা তা পাহারা দিচ্ছে, ভার অত্যন্ত সতর্ক, অত্যন্ত হিংস্থক । কাউকে তারা নিতে দেবে না। তবে তুমি ভারতবর্ষের সন্তান, তোমাকে একেবায়ে বঞ্চিত করব না আমি-রহস্য নিয়ে যাও, অর্থ পাবে না। যা পাবে তা সামান্ত । তারই জন্তে প্রাণ দিতে হবে। —আপনি বিন্ধমুনি ? —মূখ। আমি এই নগরীর অধিদেবতা। ধ্বংসস্তুপ পাহারা দিচ্ছি শতাব্দীর পর শতাব্দী। অনেকদিন পরে তুমি ভারতবর্ষ থেকে এসেছ—আটশ বছর আগে তোমাদের সাহসী পূৰ্ব্বপুরুষরা অস্ত্র হাতে এখানে এসে রাজ্যস্থাপন করেন । দুৰ্ব্বল হাতে তারা খড়গ ধরতেন না। তোমরা সে দেশ থেকেই এসেছ কি ? দেখলে চেনা যায় না কেন ? —সেটা আমাদের অদৃষ্টের দোষ, আমাদের ভাগ্যলিপি। তারপরেই সব অন্ধকার। সুশীল সেই অদৃষ্টপূৰ্ব্ব পুরুষের সঙ্গে সেই হুচীভেদ্য অন্ধকারের মধ্যে কোথায় যেন চলেছে•••চলেছে•••মাথার ওপর কৃষ্ণ নিশাঁখিনীর জলজলে নক্ষত্ৰতর स्रांकांश्नं ।