পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনে-পাহাড়ে 8२é মত আর দেখি নি। সেই ভীষণ শুষ্ক পাহাড়ের গায়ে দাড়িয়ে বিশ্বাস করা শক্ত ৰে কোনোদিন আবার এখানকার মাটি-বাতাস সরস হবে। বললুম—আপনার ইজারা দেন দেবীপ্রসাদ মাড়োয়ারীকে ? —ন বছরের লিঙ্গ আছে ওর সঙ্গে। চার হাজার টাকা বছরে— —তিনি কোথায় ঘাস বিক্রি করেন ? —বামার লরি কোম্পানীর কনট্রাক্ট আছে—তারা সময় স্টেশন থেকে মাল নিয়ে যায়। —বেশ লাভ আছে, কি বলুন ? —খরচ-খরচা বাদে পাচ-ছ হাজার টাকা থাকে দেবীপ্রসাবাবুর। নইলে কি কেউ ভূতের বেগার খাটে! . মনে ভাবলুম, ভূতের বেগার দেবীপ্রসাদবাবু খাটতে ধাবেন কেন, সে যদি কাউকে খাটতে হয় তবে খাটচে, ওই বেচারী বাঙালী কেরাণীবাৰু। এই নিৰ্ব্বান্ধব স্থানে জঙ্গলের মধ্যে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর খেটে হয়তে। মাসে ত্রিশটি টাকা মাইনে পায়—তাও পায় কিনা। ধনিক ধিনি, তিনি প্রকাও অষ্টিন-গাড়ীতে চেপে এসে একবার এক ঘণ্টার জন্তে হয়তো এসে তদারক করেন। সেই বনাবৃত উপত্যুকার এক প্রান্তে সেই ঝর্ণাটির কুলুকুলু ধ্বনি বনপত্র-মর্শ্বরের সঙ্গে মিশে এক মধুর সঙ্গীত রচনা করে চলেচে। আমরা তিনজনেই বটবৃক্ষের ছায়ায় শুকনে পড়ানো সাবাই দ্বাসের ওপর গুয়ে পড়ি, আকাশ দেখি, বিহঙ্গ-কাকলী কান পেতে শুনি, খোশগল্প করি। বেলা দুটোর পর বাংলোতে গিয়ে আহারাদি সেরে নিলুম। গরম গরম খিচুড়ি খেতে সেই বনের মধ্যে খুব মিষ্টি লাগলো। আবার বনের মধ্যে দিয়ে পথযাত্রা । ফু পাশের ঘন বন, একদিকের পাহাড়ের দেওয়ালের মধ্যেকার চওড়া রাস্ত দিয়ে মোটর ছুটেচে । বন ক্রমশঃ ঘন হতে ঘনতর হয়ে উঠেচে । যেতে যেতে এক জায়গায় মহন্তকণ্ঠের সম্মিলিত সঙ্গীত কানে এল। ব্যাপার কি ? গান গায় কে ? মিঃ সিংহ বললেন—দেখবেন ? এখানে কাইনাইটের খনি আছে— --জঙ্গলের মধ্যে— --বেশী দূর নয়, পথের ধারে। মোটর থামিয়ে আমরা গাছপালা ঠেলে বনের মধ্যে ঢুকি। আমাদের সামনে একটা ধাওড়া চালাঘর, জংলীম্বাসে ছাওয়া। ত্রিশ চল্লিশ জন তরুণী স্বাস্থ্যবতী হো-কুঙ্গিরমণী সেখানে. দাড়িয়ে এক সঙ্গে লোহার দুরমুশ দিয়ে পাথুরে কয়লার মত কি জিনিস চূর্ণ করচে আর এক সঙ্গে গান গাইচে হে ভাষায় । भिः निरश् वजहजन-जै कांट्ज कब्रजांब्र भङ बिनिगछैोहे कांहेनाहेहे । —খনি কোথায় ?